গত চারবছরের আইএসএল ইতিহাসে এমন সময় এটিকের সামনে আসেনি। দুটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলার পরেও যাদের পয়েন্টের জায়গায় শূন্য বসাতে হচ্ছে। গোল নেই একটাও। বোঝাই যাচ্ছে দিল্লির মাঠে ঠিক কতটা চাপে এটিকে।
কোচ কপেল জানিয়েছেন, ‘' আসলে আমরা এখন পিছনের থেকে সামনে তাকাতেই বেশি পছন্দ করব। জানি আমরা শেষ ম্যাচে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যেই দশ জন হয়ে যাওয়াটাই আমাদের সব ভাবনা উল্টে দেয়। ১১ জনের বিরুদ্ধে ১০ জন খেলা সবসময় কঠিন হয়। যাই হোক, আমরা আশা করছি এবার ভালো কিছুই হবে।'’
advertisement
কোচের কথা পাশে সরিয়ে রাখলেও পরিসংখ্যান যে এটিকে-র বিপক্ষে কথা বলছে। কারণ ঘরের বাইরে আবার তেমন ভাল খেলার রেকর্ড নেই এটিকের। অন্যদিকে দিল্লি আবার নিজেদের মাঠে বেশ ভাল পারফরম্যান্স করে। যেমন দিল্লি এই মুহুর্তে পরপর ৬টি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে। যারা বিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৫টি গোল করেছে। এবং গোল হজম করেছে মাত্র ৮টি। বোঝাই যাচ্ছে লাঞ্জা, কালুদের সঙ্গে জিয়ান্নিদের একটা মরণপণ লড়াই অপেক্ষা করছে।
আর দিল্লি কোচ কি ভাবছেন ? তিনি বলেন, ‘' শেষ ম্যাচ খেলার পর আমরা ঠিক দু-সপ্তাহ বিশ্রাম পেয়েছি। আর এই সময়টা এই ম্যাচের জন্যেই প্রস্তুতি নিয়েছি। বেশ কিছু ফুটবলার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্যে বাইরে ছিল। যাই হোক আমরা এখন প্রস্তুত।'’
ঘরের মাঠে দিল্লি যে জয়ের জন্যেই ঝাঁপাবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এটিকে অবশ্যই সেই আক্রমণ সামলে উঠে তারপর আক্রমণ করবার রাস্তা নেবে। অর্থাৎ প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবলই ভরসা হতে পারে লাঞ্জাদের। কিন্তু সেক্ষেত্রে চিন্তার কারণ হতে পারে রালতের না থাকা। কারণ নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে লালকার্ড। এখন দেখার তিনি কি উপায় লেফট উইং ব্যবহার করেন।
এমন অনেক ছোট বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারে দুই কোচের স্ট্রাটেজিকে। কার ফুটবল দর্শন করবে বাজিমাত। দেখতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা।