মালদ্বীপের মাটি থেকে অষ্টম বার সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঘরে ফিরেছে ভারত। সুনীল ছেত্রী ফাইনালের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন, টুর্নামেন্টের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন, সর্বোচ্চ গোল স্কোরার নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৭ বছর বয়সেও অপ্রতিরোধ্য ভারত অধিনায়ক। দিন কয়েক আগে গুঞ্জন শোনা যেত তাঁর অবসরের ব্যাপারে। কিন্তু মাঠে যাবতীয় জবাব দিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তাকে সরিয়ে জায়গা নেওয়ার মতো ফুটবলার এখনও নেই ভারতের হাতে। মানবীর, ফারুক চৌধুরী হয়তো গোল করতে পারেন, কিন্তু সুনীলের ধারাবাহিকতার আশেপাশে কেউ নেই।
advertisement
তবে সাফ কাপ জিতে আনন্দে আত্মহারা হতে রাজি নন সুনীল ছেত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন পাখির চোখ এখন ২০২৩ সালে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করা। এটাই এই মুহূর্তে ধারাবাহিক ভাবে করতে চায় ভারতীয় দল। চিন, জাপান, কোরিয়া, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়ার মত সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে খেলে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হবে ভারতীয় ফুটবল দল। এশিয়ার সেরাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে নিজেদের অনেক বেশি উন্নত করতে হবে সন্দেহ নেই।
কোচ ইগর যদি সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারতেন, তার বিদায় ছিল নিশ্চিত। আপাতত চাকরি বেঁচে গিয়েছে ক্রোয়েশিয়ান কোচের। এই মুহূর্তে আইএসএলে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ফুটবলাররা। কিন্তু ফেডারেশনকে একটা নীল নকশা জমা দিয়েছেন কোচ ইগর। তাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এফসি এশিয়ান কাপকে। সুনীল বলছেন সুরেশ, সাহাল, মনবীর, শুভাশিস, লিস্টনরা প্রতিভাবান। এরাই ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ।
কিন্তু এশিয়ান কাপের মানের প্রতিযোগিতার ধারাবাহিকভাবে খেলতে গেলে নিজেদের দুশো শতাংশ উজাড় করে দিতে হবে। সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। আগামীর লক্ষ্যে নিজেদের প্রস্তুত হতে হবে।। দেশের গর্বের জন্য এবং দেশের মানুষকে ফুটবলমুখি করে তোলার জন্য নিজেদের খেলার মাঠে বিপ্লব ঘটাতে হবে। প্রতিপক্ষের নাম দেখে ভয় পেলে চলবে না। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।