(তামাং)
ভারত -২
( ফারুখ, সুনীল)
#কাঠমান্ডু: প্রথম ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে কোনমতে ড্র করেছিল ভারত। সেদিন অনিরুদ্ধ থাপা গোল না করলে হয়তো নেপালের কাছে হেরেই ফিরতে হত ভারতকে। এমনিতে কাঠমান্ডুতে অনুশীলনের দুরবস্থায় ভুগতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। নেপাল ফুটবলের পরিকাঠামো অনেক পিছিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেও পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে পারেনি ভারতীয় দল। কিন্তু ওসব বলে লাভ ছিল না। ৬৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারত আজ জিততে না পারলে প্রবল সমালোচনা হত।
advertisement
এমনিতেই জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাককে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠে গিয়েছে। দশরথ স্টেডিয়াম রবিবার ম্যাচটা ভারত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করেছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি। নেপাল কাউন্টার আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলছিল। গৌতম, অঞ্জন, মনিশদের নেপাল দ্রুতগতির দল। ফাঁকা জায়গা পেলেই আক্রমণ করছিল তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে বিপিন সিং কে তুলে নিয়ে ফারুখ চৌধুরীকে নামানো হয়। ৬২ মিনিটে সানা সিং- এর বাড়ানো একটা বল সুনীল ছেত্রী মাথা দিয়ে নামিয়ে দিলে ফারুখ বুক দিয়ে রিসিভ করে ফিনিশ করেন। ৮০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। অনিরুদ্ধ থাপার থেকে বল পেয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে অনেকটা দৌড়ে সুনীল ছেত্রী নেপাল গোলরক্ষকের ডানদিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। সুরেশ পাশে থাকলেও সুনীল নিজেই শট নেন।
এরপর গ্লেনকে নামিয়ে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পোক্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু লড়াই ছাড়েনি নেপাল। ৮৬ মিনিটে দূরপাল্লার শটে দুরন্ত গোল করেন তেজ তামাং। পরপর আক্রমণ তুলে আনে নেপাল। ভারতীয় ডিফেন্স রীতিমতো চাপে ছিল। শেষ পর্যন্ত অঘটন না ঘটলেও ভারতের খেলা সমালোচিত হবে।
নেপালের মতো দলকে হারাতে এই অবস্থা হলে ভারতের কপালে আগামীদিনে দুঃখ অপেক্ষা করছে। ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচের স্টাইল মোটেই নজর কাড়তে পারছে না। ভারত নিজেদের স্বাভাবিক খেলার অর্ধেক খেলাও এই দুই ম্যাচে তুলে ধরতে পারেনি।