রবিবার ইতালির বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচটা কিন্তু সেই লন্ডনের ওয়েম্বলিতে হতে চলেছে। ডেনমার্কের ম্যাচের পর গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে করোনার ৩য় ঢেউ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩য় দফার লকডাউন তুলতেই এই মারাত্মক সংক্রামক ডেল্টা স্ট্রেনে এক ধাক্কায় কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে গেছে। শুধু ইংল্যান্ড বলে না, ইটালিতেও এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে।
advertisement
মহামারী বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ইউরো এর প্রধান কারণ, এবং পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে এই সংক্রমণের হার অত্যধিক বেশি হওয়ার কারণও চলতে থাকা এই মহাদেশীয় কাপ। ইমুউনোলজিস্ট ডেনিস কিনেন বলছেন, সাধারণত ফুটবল যেহেতু পুরুষরা বেশি পছন্দ করে, তাই মাঠের ভিড়ে পুরুষের সংখ্যাই বেশি, যা শুধু একটি লিঙ্গের মানুষের মধ্যে অত্যধিক সংক্রমণের একটি কারণ হতে পারে।
তাই তিনি মনে করছেন লনকডাউন আনলক করায় সংক্রমন এক ধাক্কায় আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ একটি গবেষণা করে দেখেছে, শেষ এক মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ গুন বেড়ে গেছে এবং মহিলা আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষদের থেকে ৩০% কম। এর কারণ হিসেবে ইম্পেরিয়াল কলেজও মনে করছেন ফুটবল মাঠে পুরুষদের জমায়েতকেই।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে মাঠের থেকেও, ম্যাচের সময় পাবে, বারে বা রাস্তাতেও প্রচুর পরিমাণে মানুষ জমায়েত হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দেশবাসীকে বলেছে তাদের দেশকে ' উৎসাহ নিয়ে কিন্ত দায়িত্ব সহকারে ' সমর্থন করতে।প্রিন্স উইলিয়াম এবং বরিস জনসন নিজেরাও মাঠে উপস্থিত ছিলেন হ্যারি কেন, স্টারলিংদের হয়ে গলা ফাটাতে।