দাবি উঠেছিল ক্রোয়েশিয়ান কোচকে সরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু এটাও ঠিক, নেপালে প্রস্তুতির যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা ছিল না। টানা বৃষ্টি, মাঠে জমে থাকা জল, নিম্নমানের পরিকাঠামো, সব মিলিয়ে ভাল ফুটবল খেলার যথেষ্ট উপযোগী ছিল না নেপালের অবস্থা। তাছাড়া সাফ কাপের আগে বেশি সময় নেই। এখন কোচকে তাড়ানো হলে, নতুন কোচ এসে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগবে।
advertisement
ভারত যে কোনও মূল্যে সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। তবে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এই কোচের থেকে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন ভাল ছিলেন। ব্রিটিশ কোচের আমলে থাইল্যান্ডের মত দলকে চার গোল দিয়েছিল ভারত। চিনের মাটিতে গিয়ে ড্র করে এসেছিল। সেখানে ইগরের আমলে সেরা প্রাপ্তি কাতারের বিরুদ্ধে ড্র। মলদ্বীপে ১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ছাড়াও খেলবে বাংলাদেশ, আয়োজক মলদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। পয়েন্ট টেবলে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে শেষ দুই দল ১৬ অক্টোবর ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
ভারতের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪ অক্টোবর। রবিবার রাতে নেপালের বিরুদ্ধে জয়ের পরেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের রণকৌশল তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ইগর। কিন্তু মলদ্বীপ রওনা হওয়ার আগে পাঁচ-ছ’দিনের বেশি অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবেন না বলে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তিনি। ইগরের ইচ্ছে ছিল কলকাতাতেই প্রস্তুতি নেওয়ার। কিন্তু এখান থেকে সরাসরি মলদ্বীপের বিমান না থাকায় সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে যেতে বসেছে।
করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় কেরলেও শিবির হওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে বেঙ্গালুরু অথবা গোয়ায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি সারতে পারেন তিনি। পরিসংখ্যান বলছে, ১৭টি ম্যাচে জয় মাত্র তিনটিতে। ড্র এবং হার সাতটি করে ম্যাচে। ইগর স্টিমাচের প্রশিক্ষণে এটাই ভারতীয় দলের চালচিত্র। সাফ কাপ ইগরের অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে সন্দেহ নেই। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে তাঁর দিন শেষ ধরে নিতে হবে।