#মারগাও: দিল্লি আভি দুর হ্যায়। গাড়ি সবে লিলুয়া পেরিয়েছে। ২০ ম্যাচের ম্যারাথন লিগে এক-আধটাতে ফেভারিটরা পয়েন্ট হারাবে, অঘটন হবে। সেটাই স্বাভাবিক। গোয়ার মাটিতে চার্চিলের বিরুদ্ধে শেষ মিনিটের গোলের হার-এ তাই অস্বাভাবিক কিছু নেই।
প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে যে ক্লাব থাকবে, তাদের পারফর্ম্যান্স এতোটা হতশ্রী হবে কেন? জুয়ান মেরা ও হাইমে কোলাডো ছাড়া এই ইস্টবেঙ্গল দলটাতে ম্যাচ উইনার নেই। আলেজান্দ্রোর দলকে থামিয়ে দেওয়ার অঙ্কটাও তাই জলের মতোই সহজ। ঘরের মাঠে সেই অঙ্কেই বাজিমাত গোয়ান ক্লাবের। চার্চিলের অঙ্ক আরও সহজ করে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের অন্যরা। সিসে-ইজরায়েলদের ট্র্যাপে ধরা দিলেন লালরিনডিকা, কাশিম আইদারারা। আর তাতেই আরব সাগরের জলে তিন পয়েন্ট ভাসিয়ে ফিরছে টিম আলেজান্দ্রো। স্প্যানিশ কোচের ম্যাচ স্ট্র্যাটেজিতে গলদ ছিল কী না, সে তো তর্কের বিষয়। কিন্তু মার্কোস, ক্রেসপিরা মাঠের লড়াইয়ে এভাবে আত্মসমর্পণ করবেন কেন?
advertisement
কোচ আলেজান্দ্রোর বড় গলতি, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ট্রান্সফার উইনডোতে মার্কোস-ক্রেসপিদের মতো সাধারণ মানের বিদেশিদের পরিবর্ত না চেয়ে বিদেশিদের ব্যর্থতাকে আড়ালের অপচেষ্টা। মরশুম শেষে পাততাড়ি গোটানোর তোড়জোড় করছেন কোয়েস কর্তারা। কিন্তু শতবর্ষে পা রাখা ক্লাবের সঙ্গে যতদিন থাকবেন, ততদিন কী সেইটুকু দায়িত্ববোধ দেখাতে পারেন না কোয়েস কর্তারা? চার্চিলের বিরুদ্ধে না-হয় ঝাঁঝ দেখাতে পারলেন না। কিন্তু সামনেই তো গোকুলাম আর মোহনবাগান। ইজরায়েলের ভাসানো সেন্টারে ক্রেসপিকে ঘাড়ে নিয়ে গোল করে গেলেন উইলিস প্লাজা। স্কোরলাইন চার্চিল ১, ইস্টবেঙ্গল ০। গোটা ম্যাচে হাতেগোনা কয়েকবার অ্যাটাকিং থার্ডে পৌঁছতে পারলেও গোলের লকগেট খুলতেই পারলেন না মার্কোস, রোনাল্ডো অলিভিয়েরা। নিজেদের মাঝমাঠ পেরিয়েই খেই হারিয়ে ফেলছিলেন কোলাডো, অভিজিৎ সরকাররা। আই লিগে প্রথম হার। আর ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নেমে এল ইস্টবেঙ্গল। চার ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিল পয়লায় চার্চিল।
ডেম্পো-সালগাঁওকর-ভাস্কো বা ফ্রানজা নেই। কিন্তু গোয়ান ফুটবলে চার্চিল রয়েছে। আরব সাগরের তীরে কলকাতার বড় ক্লাবের ডুবে যাওয়ার ইতিহাসও একইরকম বর্তমান। অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগে শনিবার মণিচাঁদ সিং ও কারজির গোলে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গলের ছোটরা। মোহনবাগানের ছোটদের হয়ে একমাত্র গোল জগন্নাথ শিকদারের।
