ফ্রেড (আত্মঘাতী গোল)
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১
(গ্রিনউড )
#লন্ডন: দ্বিতীয়ার্ধে গ্রিনউডের গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে লিডস ইউনাইটেডকে ৫ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ওলের ছেলেদের। প্রথম ম্যাচের জেমস এবং ম্যাক্টমিনাইকে ওলে এদিন না নামিয়ে মার্টিয়াল এবং মাটিচকে দলে রাখেন। এই দুজনই পুরোপুরি ফ্লপ। মিডফিল্ডের দায়িত্ত্ব এসে পড়ে ফ্রেড এবং মাটিচের উপর। পুরো ম্যাচে এর জন্যই ভুগতে হল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।
advertisement
ফ্রেড আগের ম্যাচে গোল করলেও এই ম্যাচে পুরোপুরি ফ্লপ। প্রথম অর্ধের আধ ঘণ্টার মধ্যেই চে অ্যাডামসের মারা শট ফ্রেডের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। যার জেরে সাউদাম্পটন এগিয়ে যায় ১ গোলে। কিন্তু এই গোল নিয়ে কথা উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিবিরে। গোলের আগে জ্যাক স্টিফেনস পিছন দিয়ে ধাক্কা দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজকে। মাঠে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলাররা ফাউল ভেবে এক প্রকার ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরই সুযোগ নিয়ে চে অ্যাডামস এর কাছে বল চলে যায় এবং তিনি শট মারেন।ইউনাইটেড ফুটবলাররা এর প্রতিবাদ করলেও রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি।
বরং শাস্তি হিসেবে ব্রুনো ফার্নান্দেজকে অসভ্য আচরণের জন্য হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন। যদিও এর আগে ইউনাইটেডের অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ারের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু প্রথম অর্ধের অধিকাংশ সময় ঘরের মাঠে সাউদাম্পটন নিজেদের দখলে বল রেখে আক্রমন করে। হাই পাস এবং ডানদিক থেকে বারবার আক্রমণ করতেই থাকে তারা। পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় অর্ধে ম্যাচে ফেরত আসার জন্য আক্রমণে ঝাঁজ বাড়াতে থাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
কিন্তু বিপক্ষের আঁটোসাঁটো ডিফেন্স তাদেরকে বারবার আটকে দেয়।ম্যাচের ৫৫ মিনিটে পল পোগবা এবং ব্রুনো ফার্নান্দেজের যুগলবন্দিতে বল সাউদাম্পটন বক্সে আসে। সেখান থেকে শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করে গোল করে যান গ্রীনউড।জয়ের লক্ষ্যে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে মার্টিয়ালের বদলে স্যাঞ্চোকে নামিয়ে দেন ওলে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয় না। বরং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্লো ফুটবলের জন্য সাউদাম্পটনের আর্মস্ট্রং গোলের সুযোগ পেয়ে যান। কিন্তু দি গিয়া অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান সেই শট।
কর্নার থেকেও একটি বল গোলে ঢোকাতে ব্যর্থ হন আর্মস্ট্রং। সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের অভাবের জন্য দুই পয়েন্ট মাঠে ছেড়ে আসল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফ্রেডের বার বার ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়া,৩৩ বছর বয়সী ম্যাটিচের ধীর ফুটবল এর জন্যই বারবার বিপদে পড়ল রেড ডেভিল। ওলের দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলতেই পারেন অনেকে।