অন্যদিকে ধূমকেতুর মতো উঠে আসা ডেনমার্ক। সব হিসেব গুলিয়ে দিয়ে যাঁরা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন নামক আবেগের সুনামিতে ভেসে একের পর এক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এসেছে। ইংল্যান্ডের এবং ডেনমার্কের ম্যানেজার দুজনেরই বিরাট ভূমিকা দলকে এতদূর আনার। আজ রাতে একজন হাসবেন, অন্যজন হতাশায় ভেঙে পড়বেন হয়তো। দেখা যাক মেগা লড়াইয়ের আগে কে কী বললেন।
advertisement
গ্যারেথ সাউথগেট (ইংল্যান্ড কোচ)
আমাদের সামনে ইতিহাস গড়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে। এর আগে কখনও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছায়নি ইংল্যান্ড। তবে এটা যাতে দলের উপর প্রত্যাশার চাপ না বাড়ায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। নতুন ম্যাচ। নতুন লড়াই। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে শেষ দু’টি ম্যাচে বেগ পেতে হয়েছে। চলতি টুর্নামেন্টেও ছন্দে রয়েছে ওরা। ফলে লড়াইটা সহজ হবে না। ছেলেরা জানে কার কী দায়িত্ব। দেশের প্রত্যাশা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু মাঠে নেমে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরা ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। ঘরের মাঠে দর্শক সমর্থন আমাদের কাছে চাপ নয়, বরং মোটিভেশন।
ক্যাসপার জুলমান্ড (ডেনমার্ক কোচ)
ইংল্যান্ড ঘরের মাঠের সুবিধা পাবে। তবে আমার ছেলেরাও লড়াইয়ের নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়েছে ওরা। আমরা যে এতদূর পৌঁছাবো, তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেনি। কিন্তু ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু হয় না। সেই বিশ্বাসে ভর করেই আরও বড় সাফল্যের স্বপ্ন দেখছি আমরা। ভাল পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সমর্থকদের আনন্দ দিতে হবে। আমি ছেলেদের উপভোগ করতে বলেছি। সকলে বলছেন আমাদের আবেগ নাকি বাড়তি সাহায্য করছে। শুধু আবেগ দিয়ে জেতা যায় না। বলতে পারেন আবেগ এবং নিখুঁত খেলার প্রচেষ্টায় এই পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছি। ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল। কিন্তু আমাদের কাছে এটা শুধু একটা ফুটবল ম্যাচ নয়। কোচ হিসেবে আমি গর্বিত।