পেলে, মেসি, মারাদোনার রেকর্ড তিনি বহুদিন আগেই ছাড়িয়ে এসেছেন রোনাল্ডো। তাঁর সামনে শুধু ছিল সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইরানের আলি দায়ি। তাঁকে বলা হত "শরিয়ার", যার অর্থ হল পারস্য সম্রাট। ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ এর মধ্যে তিনি ইরানের হয়ে ১০৯ গোল করেছেন। এদিন সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন রোনাল্ডো। ইউরোর শেষ ষোলোয় উঠেছে দল। ফলে ইউরোতেই এককভাবে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হওয়ার সুযোগ আছে CR7-এর কাছে।
advertisement
যদিও রোনাল্ডোর কাছে শিরোপা হারাতে যে এতটুকু কষ্ট নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন দায়ি। তিনি বিশ্বাস করেন ফুটবল ইতিহাসের তিন সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়ার মেসি, মারাদোনা এবং রোনাল্ডো। তাঁর কথায়, ''রেকর্ড তৈরিই হয় ভাঙার জন্য। রোনাল্ডোর মধ্যে সেই ক্ষমতা আছে। আমি তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করি। তিনি এত বড় মাপের একজন খেলোয়াড় যে, আলাদা করে তার প্রশংসা করার দরকার পড়ে না।''
বুধবার নামের পাশে ১০৭ গোল নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী রোনাল্ডো। ম্যাচের ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। দানিলো পেরেইরা ডি-বক্সের মধ্যে ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিসের ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল ফার্নান্দো সান্তোসের দল। গোল করতে ভুল করেননি শিকারি রোনাল্ডোর। করিম বেঞ্জিমার জোড়া লক্ষ্যভেদে পিছিয়ে পড়া ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ৬০ মিনিটে ফের সমতায় ফেরান সেই রোনাল্ডোই। তিনি নিজেই আদায় করে নিয়েছিলেন পেনাল্টি। তার ক্রস লেগেছিল জুল কুন্দের হাতে। সেই পেনাল্টি থেকে গোলটি করতেই তিনি পৌঁছে যান ১০৯ গোলে। ছুঁয়ে ফেলেন আলি দায়ির রেকর্ড।
প্রথম গোলটির পরই অবশ্য একটি নতুন কীর্তি গড়েন রোনাল্ডো। ইউরোপের প্রথম ফুটবলার হিসেবে মেজর টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে) অন্তত ২০ গোল করেন তিনি। যা পরে বেড়ে হয় ২১টি।