প্রশ্নটা এখানেই! আলোচনার বিষয়বস্তু যেখানে মূলত কলকাতার ফুটবল, সেখানে আলাদা আলাদা দুই জায়গায় দুটি ভিন্ন বৈঠক কেন? তবে কী কলকাতা ময়দানে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত? সে তো সময় বলবে! নব মহাকরণের বৈঠক শেষে জানা গেছে, জুলাইয়ের শেষে আবারও রাজ্যের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
advertisement
অন্যদিকে সুতারকিন স্ট্রিটের আইএফএ দফতরে কলকাতা ফুটবলের উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেন সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে অক্টোবর-নভেম্বরে ঘরোয়া লিগ করতে মরিয়া আইএফএ। শুক্রবার লিগ করার পক্ষে মত দেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে আইএফএ অফিসে সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায় আর রঘু নন্দীর সঙ্গে বসে ছিলেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সেখানে সবাই একযোগে লিগ করার প্রস্তাব দেন। প্রয়োজনে খেলা কমিয়ে, ফরম্যাট বদলেও খেলা করার জন্য জোর দেন সুব্রত ভট্টাচার্যরা। বাংলা ফুটবলের উন্নতির রোডম্যাপ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। আগামী সময়ে জেলা থেকে ফুটবলার তুলে এনে অ্যাকাডেমি করারও প্রস্তাব দেন প্রাক্তনরা। প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়, সুব্রত ভট্টাচার্যরা ফুটবলার তুলে আনার জন্য স্কাউট কমিটি করার প্রস্তাব দেন ।
অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের নিয়ে আই এফ এ-র নিজস্ব অনূর্ধ্ব ১৭ দল করার অভিনব প্রস্তাব দেন সুব্রত ভট্টাচার্য। দলটি ঘরোয়া লিগে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডিভিশনে খেলানোর পক্ষে সওয়াল করেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশির ঘোষ বলেন, পরবর্তী সময়ে সন্তোষ ট্রফির মত টুর্ণামেন্টে বাংলা দলের সাপ্লাই লাইন হয়ে উঠতে পারে এই দলের ফুটবলাররা। এমন কী বিদেশের মত অ্যাকাডেমির প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারদের ট্রান্সফার ফি'র বিনিময়ে বিভিন্ন ক্লাবে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ থাকবে আই এফ এর কাছে।
প্রাক্তনদের দেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে বদলে যেতে পারে বাংলার ফুটবলের ছবিটা। আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারে রাজ্য ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
PARADIP GHOSH