তারা ব্যস্ত ছিল ‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগান নিয়ে, অর্থাৎ কাপ ঘরে আসছে। ইউরো জিতে সেই স্লোগানকেই ঘুরিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিল ইতালি। ইংল্যান্ডের স্লোগানের জবাবে তাঁদের পাল্টা স্লোগান এখন ‘ইটস কামিং টু রোম’। ম্যাচের পর পদক নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করার সময় ইংল্যান্ড সমর্থকদের উদ্দেশে চেঁচিয়ে লিয়োনার্দো বোনুচ্চি বলে ওঠেন, “আমাদের আরও বেশি করে পাস্তা খাওয়া দরকার।’ ইতালির মানুষজনের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কটাক্ষ করেছিল ইংরেজরা। তারই পাল্টা দিলেন বোনুচ্চি।
advertisement
শুধু তাই নয়, ক্যামেরার সামনে এসে চেঁচিয়ে একাধিক বার ‘ইটস কামিং টু রোম’ বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ড্রেসিংরুমে ফিরে সতীর্থের সঙ্গে নাচতে নাচতে সুর করে এই স্লোগান গাইতে দেখা গিয়েছে গোলকিপার জিয়ানলুইগি ডোনারুমাকে। ম্যাচের পর বোনুচ্চি বলেছেন, “ঐতিহাসিক গোলে স্বপ্ন সত্যি হল। কোচ এবং গোটা দলের এই কৃতিত্ব প্রাপ্য। অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। ট্রফি নিতে যাওয়ার আগে ৬৫ হাজার দর্শককে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে প্রথমবার দেখলাম। কাপ এখন রোমে যাচ্ছে। ওরা ভেবেছিল লন্ডনে থাকবে। কিন্তু আমরা ফের ওদের উচিত শিক্ষা দিলাম।”
বোনুচ্চির সংযোজন, “আগেই বলেছিলাম, গ্যালারির আওয়াজকে আমরা পাত্তা দিচ্ছি না। ওটা স্রেফ একটা বাজে আওয়াজ। ওসব আওয়াজ আমরা অনেক দেখেছি। যেটা আমাদের করার দরকার ছিল সেটাই করেছি।” রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের বিমান অবতরণ করার আগে থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। স্বপ্নের নায়কদের একবার চোখে দেখবেন বলে।
পার্ক দে প্রিন্সপি হোটেলে সেলিব্রেশন হয়েছে ইতালির। প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রঘি এবং প্রেসিডেন্ট সেরজিও মাতারেলা দলকে সম্মান জানান। উপস্থিত ছিলেন উইম্বল্ডন রানারআপ মাতিও বেরেটিনি। ম্যানেজার রবার্তো মানচিনির আলাদা করে প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি। ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর আবার কোনও বড় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল আজুরী।