(সালা - পেনাল্টি)
চেলসি - ১
( কাই)
#লিভারপুল: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল এবং চেলসি। নিজেদের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে দুর্দান্ত শুরু করেছিল লিভারপুল। ৪-৩-৩ ফরমেশনে দল সাজানো দেখেই স্পষ্ট কতটা আক্রমনাত্মক ছিল জুরহেন ক্লপের দল। সালা, মানে, ফিরমিনো - এই তিনজন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা আপফ্রন্ট। গত কয়েক বছর ধরে প্রমাণ করে আসছেন। কিন্তু খেলার গতির বিপরীতে হঠাৎ গোল করে এগিয়ে গেল চেলসি।
advertisement
কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন কাই হ্যাভারটজ। জার্মান ফুটবলারটি অতীতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল করে ইউরোপ সেরা করেছিলেন চেলসিকে। জার্মানির হয়ে ইউরো কাপে যথেষ্ট ভাল খেলেছিলেন। কিন্তু গোল খেয়ে দমে যায়নি লিভারপুল। আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। প্রথমার্ধের শেষে পুরস্কার পায় লাল জার্সিধারীরা। চেলসির জেমস গোল লাইন থেকে হাত দিয়ে বল ফিরিয়ে দেন। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে গোল করতে ভুল করেননি মহম্মদ সালা। গোলরক্ষকের ডানদিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।
রেফারি টেলর লাল কার্ড দেখান চেলসির জেমসকে। বিরতির পরেই দুটি পরিবর্তন করে নেন চেলসির ম্যানেজার টুচেল। কভাসিচ এবং থিয়াগো সিলভাকে নিয়ে আসেন। একজন কম নিয়ে খেলা দলের কোচ হিসেবে সঠিক কাজ করেন তিনি। ঘরের মাঠে জয় সূচক গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। ফাবিনহ, জোটা, সালা, আর্নল্ড - মুহুমুহু আক্রমণ করতে থাকেন চেলসি ডিফেন্সে। কিন্তু সহজে ভাঙা যাচ্ছিল না সিলভা, রুডিগার, আলোনসোদের নিয়ে তৈরি রক্ষণকে।
দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছিল লিভারপুল। অ্যান্ডারসন এবং রবার্টসন বারবার বক্সের মধ্যে ক্রস রাখছিলেন। কিন্তু এদিন যেন চেলসি কিছুতেই না হারার প্রতিজ্ঞা নিয়ে নেমেছিল। প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ার পর, মাঝখান দিয়ে ওয়াল পাস খেলে ডিফেন্স ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল লিভারপুল। কিন্তু তাতেও টলানো যায়নি চেলসিকে। তাঁদের গোলরক্ষক এডোয়ার্ড মেন্দি প্রচুর সেভ করলেন। একজন কম নিয়ে খেলা বিপক্ষ দলের ডিফেন্সকে পরাস্ত করতে না পেরে হতাশ লাগছিল ক্লপকে।
লিভারপুলের মাঠ ভর্তি সর্মথকরা দলকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করলেন গান গেয়ে। সালা একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ডান পায়ের শটে জোর না থাকায় গোল হয়নি। দিনের শেষে একজন কম নিয়ে খেলা ফুটবল ম্যাচে সহজ নয়। তাই ম্যাচটা ড্র হওয়ার ফলে চেলসির নৈতিক জয় তাতে সন্দেহ নেই। চেলসি প্রমাণ করল এমনি এমনি তাঁরা ইউরোপ সেরা হয়নি। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে না পারায় নিজেদের দোষ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই লিভারপুলের।