মরশুম শুরুর আগেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে জড়িয়ে গেল এভার্টন ফুটবল ক্লাব। যে কারণে দলের সিনিয়র সেই সদস্যকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হল তারা। অভিযুক্ত সেই ফুটবলারের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির মামলায় পুলিশি তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে এভার্টন ফুটবল ক্লাবের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ক্লাবের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। তবে এখন আর এর চেয়ে বেশি কোন তথ্য ক্লাবের পক্ষ থেকে দেওয়া সম্ভব নয়।’
advertisement
তবে প্রকাশ না করা হলেও, এরই মধ্যে জানা গেছে সেই অভিযুক্ত এবং বহিষ্কৃত ফুটবলারের নাম। মার্সিসাইডের নীল জার্সির সেই ফুটবলারটি আর কেউ নন, ক্লাবের সহ-অধিনায়ক গিলফি সিগার্ডসন। ২০১৭-১৮ মরশুমে সোয়ানসি থেকে এভার্টনে যোগ দেন আইসল্যান্ডের এই তারকা ফুটবলার। গতবার খুব বেশি ম্যাচে প্রথম একাদশে না থাকলেও প্রিমিয়ার লিগে মোট ছয়টি গোল করেন। সঙ্গে পাঁচটি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার নামের পাশে।
যদিও সিগার্ডসনের স্ত্রী আলেকজান্দ্রা আইভার্সডোত্তির বলেন, জিলফি পুলিশের দ্বারা গ্রেফতারও হননি, ক্লাব কর্তৃক বহিষ্কারও হননি। এগুলো ভুয়া সংবাদ। এমনকি কোনো শিশুর সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গেও জড়াননি। বর্তমানে এভার্টন নিজেদের প্রাক-মরশুম প্রস্তুতি কাজে ব্যস্ত।
১৪ অগস্ট প্রিমিয়ার লিগে সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে তারা প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে। তবে তার আগে এই ঘটনার ফলে নতুন ম্যানেজার রাফায়েল বেনিতেজের সামনে এক বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। পুরো দলের ফোকাস ধরে রাখা এই জায়গা থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জ।যদি সত্যিই সিগার্ডসন এই কাজ করে থাকেন, তাহলে তার অভাব মেটানো কঠিন।