সাউথগেট অবশ্য বিরাট একটা ঝুঁকি নিয়েছিলেন বলা যায়। অভিজ্ঞদের রেখে চার তরুণ ফুটবলারকে দিয়ে পেনাল্টি শট করানোর সিদ্ধান্ত নেন। তার খেলোয়াড় পরিবর্তনের সময়জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সেটা এখন বিতর্কে রূপ নিচ্ছে। সাউথগেটের ফটকা কাজে আসেনি। ফুটবল এমনই। সবসময় ভাগ্য নিজের অনুকূলে থাকে না। পর্তুগিজ ম্যানেজার মরিনহো প্রশ্ন তুলেছেন কেন শট নিতে দেওয়া হল না স্টোন, জ্যাক গ্রিলিশ, রহিম স্টারলিংদের ? এই সিদ্ধান্ত বোধগম্য হয়নি অনেকেরই।
advertisement
কিন্তু মাঠের ভেতর কোচের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সফল হলে যেমন জয়গান করা হয়, তেমনই ব্যর্থ হলে টেনে নীচে নামাতে কতক্ষণ লাগে ? ইংলিশ ম্যানেজারের দুর্ভাগ্য তিনি পারেননি। কিন্তু ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সাউথগেট দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও আধুনিক ফুটবলের সঠিক স্টাইল রপ্ত করেছে ইংল্যান্ড। দলটা আগের মত লং পাসে না খেলে বল মাটিতে রেখে খেলার চেষ্টা করে। ৫৫ বছর পর স্বপ্ন সফল না হলেও তাই হাল ছাড়তে রাজি নয় ইংলিশ কোচ।
এফ এ তাঁকে রাখবে কিনা পরের ব্যাপার। কিন্তু তিনি নিজে কাতার বিশ্বকাপে দলের দায়িত্বে থাকতে চান ফাইনাল হারের পর পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এদিকে ইংলিশ সংবাদমাধ্যমে কিছু জায়গায় কোচের মুণ্ডপাত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পেনাল্টি মিস করার ফুটবলারদের বিরুদ্ধেও সরব ইংলিশ সর্মথকরা।