বর্ণবিদ্বেষের ঘটনায় মার্কাস র্যাশফোর্ডের পর এবার মুখ খুললেন বুকায়ো সাকা। লম্বা ট্যুইটে তিনি বলেন, ‘এই সব কুরুচিকর মনোভাবের মানুষকে আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না। এমন কার্যকলাপ আমার মনোবলে চিড় ধরাতে পারবে না। তবে ফুটবলে বর্ণবিদ্বেষ কোনওভাবেই কাম্য নয়। আর ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে গর্বের। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর ফের দেশকে বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে তুলতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা আমায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।’
advertisement
উল্লেখ্য, ওয়েম্বলিতে ইউরো ফাইনালে ইতালির কাছে টাই-ব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের। এই পর্বে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন জ্যাডন স্যাঞ্চো, র্যাশফোর্ড ও সাকা। এরপরই সোশ্যাল মাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন তাঁরা। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় ইংল্যান্ডের ফুটবলমহল। সেই দেশের সরকারও ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।
এই প্রসঙ্গে আর্সেনালের তরুণ উইঙ্গার সাকা বলেন, ‘ফাইনালের পর কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার আশঙ্কা অবশ্যই ছিল। আর এটা খুবই দুঃখজনক, সোশ্যাল মাধ্যমে এগুলোকে রোখার উপায় নেই। ট্রফিটা ঘরে আনতে পারলাম না। আমার পেনাল্টি শটের উপর দলের ভাগ্য নির্ধারণ করছিল। বল জালে জড়াতে না পারায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে এগুলি খেলারই অঙ্গ। এই কঠিন সময়ে যারা পাশে দাঁড়িয়েছে, সবাইকে ধন্যবাদ।’
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এবং সেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন আগেই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই তিন ফুটবলারের। যাঁরা নিজেদের ফুটবলারদের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করেন, সেই সমর্থকদের ইংল্যান্ডের প্রয়োজন নেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন। তবে ইংলিশ সর্মথকরা আর কবে ভদ্র হলেন? হুলিগান নামক বিশেষণ কী এত সহজে মুছে যাওয়ার?