গত দু’টি ম্যাচেই ৬টি গোল করেছে তারা। ফলে খাতায় কলমে বুধবার ইংল্যান্ডই ফেভারিট। গ্রুপ পর্বে মাত্র দু’টি গোলের দেখা পেয়েছিল ইংরেজরা। তবে নক-আউট পর্বে মোক্ষম পিক-আপ নিয়েছে তারা। জার্মানির মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ২ গোলে বশ মানানোই তার প্রমাণ। তারপর গত ম্যাচে ইউক্রেনকে চার গোলে উড়িয়ে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। সব থেকে বড় বিষয় হল, দলটিতে প্রতি বিভাগেই এমন একাধিক ফুটবলার রয়েছে, যারা নিমেষে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।
advertisement
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে বেশির ভাগ সময় বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছে হেন্ডারসনকে। লিভারপুল অধিনায়কের দলে না থাকা নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। তবে গত ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই গোল করে সে বুঝিয়ে দিয়েছে, কেন তাঁকে দলে না রাখা নিয়ে এত হইচই হচ্ছিল। নজর কেড়েছে জর্ডন স্যাঞ্চোও। ফলে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ চয়নের ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন সাউথগেট। গত ম্যাচে চোটের জন্য বুকায়ো সাকা খেলতে না পারলেও সে কিন্তু দলে ফিরবে।
একই সঙ্গে হ্যারি কেনের গোলে ফেরাটা ইংল্যান্ডের জন্য বড় অ্যাডভান্টেজ। শুরুতে ডেনমার্ককে কেউ ফেভারিটের তালিকায় রাখেনি। তাই এই দলটা নিয়ে সেরকম কোনও অলোচনা হয়নি। তবে সেমি-ফাইনালে ওঠার পরই ওদের নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, লেস্টার সিটি, ইন্তার মিলান, চেলসি, বার্সেলোনার মতো ক্লাবে খেলা ফুটবলার রয়েছে এই দলে। ফলে বড় মঞ্চের চাপ সামলোনার ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, দু’দলের শেষ সাক্ষাতে শেষ হাসি হেসেছিল ডেনমার্কই। দুই দলের সাক্ষাৎ হয়েছে ২১ বার। ১২ বার জিতেছে ইংল্যান্ড, ৪ বার জয় পেয়েছে ডেনমার্ক। বাকি ড্র।ডলবার্গ, পলসেন, ক্রিশ্চিয়ানসেন, ডেলনিদের মত ফুটবলাররা কিন্তু এতদূর এসে খালি হাতে ফিরতে চাইবেন না।
আবার ঘরের মাঠে এই ম্যাচ খেলে ফাইনালে ওঠার সুযোগ আবার কবে পাবে ইংল্যান্ড বলা যায় না। স্কিল, গতিতে এগিয়ে ইংরেজরা। কিন্তু শারীরিক সক্ষমতা এবং উচ্চতায় ড্যানিশরা পাল্লা দিতে পারে। তাই সব মিলিয়ে আবার একটা জমজমাট ফুটবল রাতের অপেক্ষা।
ইংল্যান্ড বনাম ডেনমার্ক
আজ রাত - ১২:৩০