'ওদের(যারা বর্ণবিদ্বেষের শিকার)এখন সমর্থন ও সহমর্মিতা দরকার, এই জঘন্য বিদ্বেষমূলক অপমান নয় যেটা তারা সেদিন রাত থেকে(ফাইনালের রাত) থেকে পেয়েছে।' তিনি এর সঙ্গে জানিয়েছেন এই তিনটি ছেলে যারা পুরো গ্রীষ্মেকাল জুড়ে উজ্জ্বল প্রদর্শন দেখিয়েছিলেন, তারা সাহসিকতা দেখিয়ে পেনাল্টি নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। যে কেউ পেনাল্টি মিস করতে পারে।
ম্যাচে পরাজয়ের পর এই বিদ্বেষমূলক আচরণকে কোচ গ্যারেথ সাউথগেট ক্ষমার অযোগ্য বলেছেন। শুধু তিনি নন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তবে সরকারের নিন্দা করার পরেও অনেকেই এই ঘটনার জন্য দেশের রাজনীতিবিদদের দায়ী করেছেন। ইংলিশ ডিফেন্ডার টাইরন মিংস স্বরাষ্ট্র-সচিব প্রীতি প্যাটেলকে উদ্দেশ্য করে টুইট করলেন।
'টুর্নামেন্টের শুরুতে আমাদের বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদকে 'জেসচার পলিটিক্স'(ইঙ্গিতমূলক রাজনীতি) হিসেবে আখ্যা দিয়ে আগুন জ্বালাতে পারেন না, তারপর ঠিক সেই জিনিসটাই যখন ঘটে তখন আপনি নিন্দা করছেন তার।' স্বরাষ্ট্র সচিব বর্নবিদ্বেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করার পর টাইরন মিংস এটা টুইট করলেন।
এর আগেও রাসফোর্ড বরিস জনসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান, যখন প্রধানমন্ত্রী স্কুলগুলিতে বাচ্চাদের মিল বন্ধ করে দেন। তখন এই ব্রিটিশ ফরওয়ার্ড সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে স্কুল গুলিতে খাওয়ার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা জানিয়েছেন তিনি কোন জায়গা থেকে এসেছেন এবং গায়ের রং কী, সেটা দেখে তাঁকে জাতীয় দলে নেওয়া হয়নি। নেওয়া হয়েছে যোগ্যতা দেখে। তিনি কালো বলে গর্বিত।