সামনে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব। আর্জেন্টিনার আবারও প্রয়োজন তাঁকে। সোজা-সাপটাই জানিয়ে দিয়েছেন ক্লাবের চোখ রাঙানি থাকলেও ‘দেশের দায়িত্ব’ পালনে পিছপা হবেন না তিনি। জুলাইয়ের ১১ তারিখে কোপার ফাইনালের পর আর্জেন্টিনা দলকে আর মাঠে দেখা যায়নি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে সেই বিরতি কাটছে। মাঠে ফিরছে আর্জেন্টিনা। ৬ সেপ্টেম্বর ‘আগুন ম্যাচ’—ব্রাজিলের বিপক্ষে। ১০ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আবারও মাঠে নামবে লিওনেল স্কালোনির দল।
advertisement
লিগ কর্তৃপক্ষ ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে দেশের হয়ে খেলার জন্য বিদেশি খেলোয়াড়েরা যদি ক্লাব থেকে ছুটি নেয়, তাহলে ফেরার পর কমপক্ষে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। ঠাসা সূচিতে এমন নিয়মের কারণে বিপাকেই পড়ে গেছে ক্লাবগুলো। কোয়ারেন্টিনের সময়টায় খেলোয়াড়েরা অনুশীলনের বাইরে থাকবেন, সেটা এতটাই শঙ্কার, যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে খেলোয়াড়দের ছাড় দেবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে।
লিগের কর্তৃপক্ষ যে দেশগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে, তাদের মধ্যে রীতিমতো লাল কালিতে লেখা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোর নাম। মার্টিনেজ নিজের সিদ্ধান্তের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন। অ্যাস্টন ভিলার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ও তার কথা হয়ে গিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশের ডাক তার পক্ষে অবহেলা করা সম্ভব নয়।
কোপা আমেরিকা জেতার পর বলেছিলেন মেসিকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে নিজের জীবন দিয়ে দিতেও সমস্যা ছিল না তার। মার্টিনেজ যে সাহস দেখিয়েছেন ততটা এখনও দেখাতে পারেননি প্রিমিয়ার লিগের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। এবার দেখার মাটিনেজের পর তাঁরা মুখ খোলেন কিনা।