আগামী বুধবার দুপুর ৩টেয় ক্লাবের সামনে একটি জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে লাল-হলুদের বিভিন্ন ফ্যানস ফোরামের পক্ষ থেকে। ক্লাবের শাসক গোষ্ঠীর হয়ে হাতে গোনা দু-চারজন প্রাক্তন ফুটবলার বিনিয়োগকারীদের টার্মশিটে সই না করার সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়ালেও বাস্তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সমর্থক বিক্ষোভের সামনে তা নেহাতই খড়-কুটো। বরং শনিবার অর্ঘ্যদীপ সাহা নামে একজন লাল-হলুদ সমর্থকের ওপর ফেসবুক লাইভ করার কারণে যে ভাবে শাসকগোষ্ঠীর আধা-কর্তারা চড়াও হয়েছেন তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন লাল-হলুদ জনতা।
advertisement
বস্তুত শ্রী সিমেন্টের টার্মশিটে সই করলে ক্লাবের অন্দরে সদস্য সমর্থকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে, শুক্রবার ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় এই ইস্যুতেই সোচ্চার হোন দেবব্রত সরকার, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়, কল্যাণ মজুমদাররা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্লাব গ্যালারি থেকে শুধুমাত্র ফেসবুক লাইভ করার অপরাধে এক সমর্থককে রীতিমতো তাড়া করে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়াটা তাহলে কি? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের অন্দরমহলে। ঘটনার পর ক্লাবের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে সৌজন্যবশত কোনও বিবৃতি জারি হয়নি। সৈকত বাবুদের সমর্থক প্রীতি তাহলে কী শুধুমাত্র শ্রী সিমেন্টকে আটকানোর জন্যই?
শ্রী সিমেন্টের টার্মশিটে সই না করলে যে শুধুমাত্র আইএসএল নয়, কলকাতা লিগ, ডুরান্ড সহ দেশের কোন টুর্নামেন্টেই দল নামতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। সেটা একরকম স্পষ্ট। আর তাতেই ক্ষোভ মাত্রা ছাড়িয়েছে শতবর্ষ পেরোনো ক্লাবের সমর্থকদের। ইবিআরপি, ব্যাজদেব, আলট্রাসের মতো ইস্টবেঙ্গলের ফ্যানস ফোরামের সদস্যদের বক্তব্য,"ফুটবল খেলার জন্যই ইস্টবেঙ্গলের জন্ম। অন্নসেবা বা সমাজসেবামূলক কাজকর্ম চলতে পারে কিন্তু সেটা কোনভাবেই ফুটবল বন্ধ করে নয়। স্পোর্টিং রাইটস না ফিরলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।"
একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, শ্রী সিমেন্টের টার্মশিটে সই করলে ক্লাব বিক্রি হয়ে যাবে বলে যারা জিগির তুলছেন, তাদের কী অধিকার রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকে ফুটবলকে কেড়ে নেওয়ার! ক্লাব বিক্রির কথা প্রচার করে মূলত বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের বিরুদ্ধে সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ লাল-হলুদ সদস্য সমর্থকদের।