শারীরিক আক্রমণ তো হয়েছেই, বর্ণবাদী আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন ইতালীয় সমর্থকেরা, এমনটাই খবর। ইংল্যান্ড আরও একটি বড় টুর্নামেন্টে টাইব্রেকার–দুর্ভাগ্যের শিকার হল। ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই ইংলিশ দর্শকদের মন খারাপ থাকার কথা। কিন্তু সেটি যে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর আক্রমণ, এমনকি বর্ণবাদী আচরণে রূপ নেবে, সেটি কে ভেবেছিল! কেবল ওয়েম্বলিতেই নয়, ইতালীয়দের বর্ণবাদী আক্রমণে জর্জরিত করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
advertisement
তবে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ), ‘দুর্ভাগ্যজনক এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এফএ সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর।’ কাল ম্যাচ শেষ ওয়েম্বলিতে ইতালির পতাকা অবমাননার ঘটনাও ঘটেছে। ইংলিশ ভক্তরা ইতালীয় ভক্তদের কাছ থেকে পতাকা কেড়ে নিয়ে তাতে আগুন দিয়েছে অনেক জায়গাতেই। পতাকায় থুতু ছিটানো, সেটির ওপর দাঁড়িয়ে পড়া—এমন ঘটনা অসংখ্য।
কেবল ইতালীয় সমর্থকেরাই এসব উচ্ছৃঙ্খল ইংলিশ দর্শকদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না। বর্ণবাদী আচরণের লক্ষ্য ছিলেন ইংল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ সমর্থকেরাও। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ওয়েম্বলির ফাইনালে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য কমপক্ষে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লন্ডন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বিভিন্ন বিশৃঙ্খল আচরণের দায়ে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে।’ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও ফাইনালের পর দর্শকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে আহত হয়েছেন।কিন্তু ইংলিশ সমর্থকদের এমন আচরণ মেনে নিতে পারছেন না বিভিন্ন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফিফার তদন্ত করে ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশনকে বড় রকমের জরিমানা করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে।