এ ঘটনায় খেলোয়াড় ও স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক, হাতাহাতিও হয়েছে। ফলে ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। ম্যাচ না খেলেই ব্রাজিল ছাড়েন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। আগামী শুক্রবার বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। সেখানেও যদি একই সমস্যা হয়? আর্জেন্টিনা আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না। চাইছে না দেখেই সেই চার খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে আপাতত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
advertisement
তাঁদেরকে বলা হয়েছে নিজ নিজ ক্লাবে ফিরে যাওয়ার জন্য। ফলে গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ও মিডফিল্ডার বুয়েন্দিয়া অ্যাস্টন ভিলার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন, ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও মিডফিল্ডার জোভান্নি লো সেলসো পাড়ি জমিয়েছেন টটেনহামে। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থা। চারজনই আর্জেন্টিনা থেকে মাদ্রিদ হয়ে ইংল্যান্ডে না গিয়ে ক্রোয়েশিয়ায় যাবেন।
সরাসরি ইংল্যান্ডে গেলে দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন কাটাতে হবে তাঁদের, ফলে দুটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ায় গিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় থাকতে পারলে দশ দিনের মাথায় ছাড়া পাবেন, তখন দুই ম্যাচের জায়গায় এক ম্যাচ খেলতে পারবেন না তাঁরা।দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা কনমেবল-এর নিয়মের ৭৪ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে ফুটবলারদের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না।
ম্যাচ সংক্রান্ত কোনও ঝামেলা থাকলে তা মেটাতে হবে ম্যাচের আগেই। এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে যে দলের কারণে ম্যাচ স্থগিত হয়েছে তাদের থেকে তিন পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে। প্রতিপক্ষ পাবে সেই তিন পয়েন্ট। কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার যে সুযোগ ছিল নেমারদের সামনে, তা তো তাঁরা হারালেনই তার সঙ্গে ম্যাচ না খেলেই পয়েন্ট তুলে দিতে হবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে। তবে সবটাই নির্ভর করছে ফিফার সিদ্ধান্তের উপর।