আট ম্যাচ পর প্রথমে গোল খেয়ে হতভম্ব হয়েছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নেয় ব্রাজিল। ৭৮ মিনিটে ফিরমিনহোর গোল নিয়ে যতই বিতর্ক থাক না কেন, দিনের শেষে জয়ী ব্রাজিলই। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ব্রাজিলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন ফিরমিনহোই। তবে সেই গোলে কিছুটা হলেও অবদান রয়েছে ম্যাচের রেফারি নেসতর পিতানার। তাঁর হাতে লেগেই বল আচমকা দিক পরিবর্তন করে। ব্রাজিলের মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা বল ঠেলে দেন লোদিকে। আর লোদির ক্রস থেকে হেডে গোল করে দেন ফিরমিনহো। তাঁর হেডে খুব একটা জোর ছিল না। কলম্বিয়ার গোলকিপার হিসাবে নামডাক রয়েছে ওসপিনার। তিনি চাইলে সেই হেড বাঁচাতেই পারতেন। তবে রেফারির হাতে বল লাগার পর কলম্বিয়ার ফুটবলাররা ভেবেছিলেন খেলা থামানো হবে। রেফারি পিতানা সেটা করেননি।
advertisement
পিতানার হাতে বল লাগার পরই কলম্বিয়ার ফুটবলাররা কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে যান। আর সেই সময়টার সুযোগ নেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। পিতানা একবারের জন্যও খেলা থামানোর নির্দেশ দেননি। তবে বল তাঁর হাতে লেগেই একেবারে উল্টোদিকে চলে যায়। কলম্বিয়ার বক্সের দিকে যাওয়া বল নাগালের মধ্যে পেয়ে পাস খেলে গোল করেন ব্রাজিলিয়ানরা। সেই গোল নিয়ে পিতানার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন কলম্বিয়ার ফুটবলাররা। যার জেরে ওসপিনা হলুদ কার্ড দেখেন। তর্কাতর্কির জেরে অনেকটা সময় নষ্ট হয়। ফলে ৯০ মিনিটের পর আরও ১০ মিনিট অতিরিক্ত দেওয়া হয়। সেই অতিরিক্ত সময়েই নেইমারের কর্নার থেকে গোল করেন কাসেমিরো। কলম্বিয়া হারে ২-১-এ।