কিন্তু ভিআইপি আমন্ত্রণ পেয়ে দারুণ খুশি প্যারামেডিক্স স্টাফ পেডার এরসগার্ড। তিনি জানিয়েছেন ওই মুহূর্তে ডেনমার্ক তারকাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে সকলের মিলিত প্রচেষ্টায়। তাঁর একার কৃতিত্ব নেই। UEFA সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বড়দিনের উপহারের থেকেও বেশি আনন্দ পেয়েছেন। ইউরো কাপের দ্বিতীয় দিন শনিবার গ্রুপ বি’র ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন।
advertisement
কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রুপে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছিল। যা স্মৃতিতে টাটকা। খেলতে খেলতে পড়ে যান এরিকসেন। একটা থ্রো ইন রিসিভ করতে টাচলাইনের কাছে চলে যান এরিকসেন। বল রিসিভের আগেই হারান জ্ঞান, কোনো রকমের সংঘর্ষ ছাড়াই। ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল ডেনমার্কের গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেল নিজের গোলপোস্ট থেকে ছুটে আসেন সেখানে। বাকিরাও ছুটে যান তার কাছে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইন্টার মিলানের এই মিডফিল্ডারের। মাঠে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার চেষ্টা করা হয় তাকে। সিপিআর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় হৃদযন্ত্র চালু রাখার জন্য।
তার সতীর্থরা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে মানবদেয়াল তৈরি করেন, যাতে তাকে আড়ালে রেখে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টাও করতে দেখা যায়। কিছু ফুটবলারের চোখে জল ছিল। খারাপ কিছু ঘটে গিয়েছে ভেবে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু হাল ছাড়েননি মেডিকেল স্টাফ এবং ডাক্তাররা।
এখন বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে ফুটবলারটির বুকে। প্রতিদিন একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন ডেনমার্কের তারকা ফুটবলার। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের নাম লেখা একটি বিশেষ জার্সি তুলে দেবেন ডেনমার্ক অধিনায়ক সাইমনের হাতে। এমনটাই খবর ইংলিশ মিডিয়ায়।ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেনের সঙ্গে টটেনহ্যাম ক্লাবে খেলেছেন তিনি