মেসিকে আটকে দেওয়া মানে আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভোঁতা হয়ে যাওয়া। একই কথা খাটে নেইমারের ক্ষেত্রেও।
নেইমারের পায়ে সৃষ্টিশীল ফুটবলের ফুল ফুটলে, হাসে ব্রাজিল। কোপা জয়ের লক্ষ্যে তাই এই দুজনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দুই দেশ, তাঁদের সমর্থকেরা। নিজেদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে এক দলের লক্ষ্য থাকবে আরেক দলের মূল খেলোয়াড়কে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। তিতে এদিকে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন, মেসিকে কীভাবে আটকাতে হয়, সে টোটকা তাঁর ভালোই জানা! ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছেন ব্রাজিলের কোচ।
advertisement
ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, সবাই আনচান করে উঠেছেন টোটকাটা জানার জন্য! কিন্তু তিতে কী আর সহজে বলেন? তিনিও জুড়ে দিয়েছেন এক শর্ত। মেসিকে আটকানোর উপায় তিনি তখনই সবাইকে জানাবেন, যদি আর্জেন্টিনা নেইমারকে আটকানোর উপায় জানায়। ‘আমরা কী মেসিকে ম্যান মার্ক করব? না জোনাল মার্ক? আমি জানি আমি কী করব। কিন্তু আপনাদের বলব না সেটা। আর্জেন্টিনা যদি আমাদের বলে যে তাঁরা নেইমারকে কীভাবে মার্ক করবে, তাহলেই কেবলমাত্র আমি সবাইকে জানাব যে আমরা মেসিকে কীভাবে মার্ক করব।'
ম্যান মার্ক বলতে রক্ষণের সেই পদ্ধতিকে বোঝায়, যখন একজন খেলোয়াড়কে আটকানোর জন্য একজন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে লেলিয়ে দেওয়া হয়। সেই নির্দিষ্ট খেলোয়াড় তখন মাঠময় প্রতিপক্ষের ওই খেলোয়াড়টিকে ধাওয়া করে বেড়ান, খেলায় ছন্দপতন করার চেষ্টা করেন। আর জোনাল মার্কিং হলো রক্ষণের এমন এক পন্থা যেখানে কোনো খেলোয়াড়কে আটকানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট একজনের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় না। কুশলী খেলোয়াড় যখন মাঠের যে 'জোন'-এ যান, সে জোনে থাকা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় তখন তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন।
নিজেদের মাঠে এ পর্যন্ত ব্রাজিলকে ২৪ ম্যাচ খেলিয়েছেন তিতে, জিতেছেন ২১ ম্যাচে, ড্র করেছেন তিনটিতে। হারেননি একটাতেও। আর্জেন্টিনা কী পারবে এই প্রথম দল হতে, যাদের হাতে তিতের ব্রাজিল নিজেদের মাঠে হারবে প্রথমবারের মতো? কাজটা সহজ নয়।
ঘরের মাঠে বলেই নয়, দুই দলের পার্থক্যের বিচারে ব্রাজিলের মিডফিল্ড এবং ডিফেন্স আর্জেন্টিনার থেকে এগিয়ে। বড় লিগে খেলা ফুটবলারের সংখ্যা বেশি। অতীতে ব্রাজিলের এই ম্যানেজারের সঙ্গে একবার কথা কাটাকাটি হয়েছিল মেসির। মুখে আঙুল দেখিয়ে তাঁকে চুপ করতে বলেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এখন দেখার মেসিকে আটকে ব্রাজিলের জয়ের পথ প্রশস্ত করতে পারেন কিনা তিতে।