এই জয়ের মাধ্যমে ব্রাজিলকে টানা ১০টি ম্যাচ জেতালেন এই ৬০ বছর বয়সী কোচ। দুদিন আগেই ব্রাজিল দলের কোচ হিসেবে পাঁচ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেছেন শিষ্যদের সঙ্গে। ছোটখাটো অনুষ্ঠান হয়েছে, খাওয়াদাওয়া, ছবি তোলাতুলিও হয়েছে। কিন্তু এই অসাধারণ মুহূর্তটা ভালোভাবে উদ্যাপন করার জন্য কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয়টা বড্ড দরকার ছিল। হেরে গেলে আনন্দের উপলক্ষে হুট করে বেসুরো বিউগল বেজে উঠত যে। সেটা হতে দেননি নেইমাররা। কাসেমিরো আর ফিরমিনোর গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে এবারের কোপায় নিজেদের জয়ের শতভাগ রেকর্ড ধরে রেখেছে ব্রাজিল।
advertisement
আর এই জয় সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে অনন্য ওই রেকর্ডটিকে। আগে টানা নয়টা ম্যাচ জিতেছিলেন তিতে, এমন রেকর্ড আছে। সেবার ১০ নম্বর ম্যাচে এই কলম্বিয়ার কাছেই ১-১ গোলে ড্র করে আটকে গিয়েছিল ব্রাজিল। এবারও প্রতিপক্ষ ছিল সেই কলম্বিয়া। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবারও জয়হীন হওয়ার শঙ্কা ঘিরে ধরেছিল ব্রাজিলকে। সেটা হতে দেননি কাসেমিরো। শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করে কোচকে এনে দিয়েছেন রেকর্ডটা। তিতেকে হাতছানি দিচ্ছে মারিও জাগালোর আরেকটি রেকর্ড।
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ ১৯৯৭ সালে দলকে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতিয়েছিলেন, যা ব্রাজিলের রেকর্ড। সেই রেকর্ড ছুঁতে হলে ব্রাজিলকে আরও চারটা ম্যাচ জিততে হবে। আর চারটা ম্যাচ জিততে পারলে ব্রাজিল এবারের কোপা আমেরিকা জিতে যাবে। ব্রাজিল ম্যানেজার রাশিয়া বিশ্বকাপে দলকে কোয়াটার ফাইনালে তুলেছিলেন। বছর দুয়েক আগে কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন ব্রাজিলকে।
তিনি জানেন ফুটবলে আজ যে রাজা, কাল সে ফকির। তাই রেকর্ড নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে রাজি নন নেইমারদের কোচ। কোপা আমেরিকা ধরে রাখাই তাঁর আসল লক্ষ্য। পাশাপাশি কাতার বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টকে তিনি যে প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ধরছেন সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন।