'ডি' গ্রুপে মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে চলতি টুর্নামেন্ট প্রথম পয়েন্টের স্বাদ পেল বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথম ম্যাচে তারা এটিকে মোহন বাগানের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল। আজ শনিবার মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছিল বসুন্ধরা কিংস।
advertisement
২০ মিনিটে বক্সের একটু বাইরে ফাউলের শিকার হন কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনহো। কিন্তু ফার্নান্দেসের ফিরতি শট অনেক উপর দিয়ে উড়ে যায়। ৪ মিনিট পর প্রথমার্ধের একমাত্র আক্রমণ শানায় বেঙ্গালুরু। ইরোন্দু মুসাভু-কিংয়ের হেড আটকান আনিসুর রহমান জিকো। ৩২তম মিনিটে ফার্নান্দেসের জোরালো শট বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক গুরুপ্রিত ফিরিয়ে দেন।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫তম মিনিটে সতীর্থের ছোট পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন রবিনহো। বল গুরপ্রিত সিংয়ের পায়ে লেগে ছুটছিল জালের দিকে। এক ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে ব্যাক ভলি করার চেষ্টার পর গুরপ্রিত বল ধরে ফেলেন। ৬২তম মিনিটে সুনিল ছেত্রির শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। এরপর তপু বর্মনের স্লাইডে প্রায় আত্মঘাতী গোল হয়ে যাচ্ছিল। বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যাওয়ায় বেঁচে যায় কিংস।
দুই ম্যাচে ১টি করে জয় ও ড্রয়ে কিংসের পয়েন্ট ৪। সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ১। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ পনেরো মিনিট মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছে বেঙ্গালুরু। সার্থক, লিওন, ক্লেটন, সুনীলের একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রথমার্ধে বল দখলে বেশি ছিল বাংলাদেশের দলটির কাছে। বেশ কয়েকবার গোল মুখ খুলে ফেলেও অবশ্য কাজের কাজ করতে পারেনি তারা।
বেঙ্গালুরু হতাশ হবে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারার কারণে। অবশ্য কর্নার থেকে বেঙ্গালুরু বিদেশি ডিফেন্ডার কোস্টার হেড গোল লাইন অতিক্রম করেছিল কিনা তাই নিয়ে তর্ক হয় ফুটবলার এবং রেফারির মধ্যে। ম্যাচ শেষে সুনীল এবং গোলরক্ষক গুরপ্রীত আলাদা করে কথা বলেন রেফারির সঙ্গে। কিন্তু তাতে কিছু হওয়ার ছিল না।