এক মাসেরও বেশি সময় জয়ের মুখ দেখেননি আলে স্যার। ১৪ ডিসেম্বর ডগলাসের ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে শেষ জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর চার্চিল ও গোকুলাম ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে হড়কে পাঁচে নেমে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দলের অন্দরে চূড়ান্ত ডামাডোল। শুক্রবার আবার খবর এল দেশে ফিরে গিয়েছেন আলেজান্দ্রোর সহকারী কোকো। শনিবার না কী শহরে পা রাখবেন আলেস্যারের নতুন সহকারী মার্সেলো ট্রুলস। কোয়েস জমানায় এটাই দস্তুর। বিপদের সময়ে গা বাঁচিয়ে সরে পড়াটাই যেন স্টাইল।
advertisement
গ্যালারিতে সমর্থকদের অপ্রিয় প্রশ্নের মুখে পড়ে পরদিন বন্ধুবৎসল সংবাদমাধ্যমকে ডেকে চুপিসারে ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন কোয়েস-ইস্টবেঙ্গলের সিইও সঞ্জিৎ সেন। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইনডোতে দরকার ছিল ভাল মানের বিদেশি পরিবর্ত। উল্টে তড়িঘড়ি আনা হল কাকে ? আলে স্যারের বিদেশি সহকারীকে। যেটা না হলেও চলে যেত। সাবেক লাল-হলুদে অন্তত জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনের তাগিদটা অনুভব করতেন দেবব্রত সরকাররা। কোয়েস জমানায় সবটাই ভোঁ-ভাঁ।
ডার্বির আগে টানা দুই ম্যাচে হার। পয়েন্ট টেবিলে দল নামতে নামতে পাঁচে। অথচ শুক্রবার অনুশীলনে নেমে ভুলত্রুটি মেরামতের রাস্তায় হাঁটলেনই না আলে স্যার। শনিবারও লোকচক্ষুর আড়াল পেতে ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল করার জন্য স্প্যানিয়ার্ড বেছে নিয়েছেন বিধাননগরে ঘেরাটোপের পূর্বাঞ্চলীয় সাইয়ের মাঠ। যেখানে প্রবেশাধিকার পাবেন না লাল-হলুদ জনতা। ক্লাবসচিব কল্যাণ মজুমদার আবার এরমধ্যে বলে বসেছেন, ‘‘অসম্মানজনক শর্তে ৮০ শতাংশ শেয়ার দিয়ে আইএসএল খেলবে না ইস্টবেঙ্গল। প্রয়োজনে আই লিগ খেলব আমরা।’’
অন্যদিকে মোহনবাগানের দিকে দেখুন। চূড়ান্ত অগোছালো একটা দল কেমন সুকৌশলে ঘুরে দাঁড়াল! সালভা, কলিনাসদের বদলি চটজলদি উড়িয়ে আনা থেকে পুরো দলটাকে এক সুতোয় বেঁধে ফেলা। অবশ্যই কৃতিত্ব দাবি রাখেন সৃঞ্জয় বোস, দেবাশিস দত্তরা। সোমবার সচিব থেকে আবারও সভাপতি পদে ফিরে যাচ্ছেন টুটু বোস। সচিবের হটসিটে আসবেন ডাবল টু-র যোগ্য উত্তরসূরি পুত্র সৃঞ্জয়। সহ-সচিব পদে উঠে আসার প্রবল সম্ভাবনা ‘বাগান চাণক্য’ দেবাশিস দত্তের।
শ্রীনগর থেকে লুধিয়ানা। কঠিন সময়ে বেইতিয়া, শঙ্কর রায়, শেখ সাহিলদের আগলে রেখেছিেলন বাগানের ‘চাণক্য’। শুক্রবারও বাগান অনুশীলনে হাজির এগজিকিউটিভ কমিটির বড় অংশ। সঞ্জয় ঘোষ, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়দের পাশে সিদ্ধার্থ রায়, উত্তম সাহা, সুরজিত নন্দীরা। বড় ম্যাচের আগে ফুটবলারদের ভোকাল টনিকের পাশে রইল আগামী মরশুমের জন্য নিরাপত্তার আশ্বাস। উনিশের ডার্বির আগে মোটিভেটশনের জন্য সৃঞ্জয়-দেবাশিসদের এই মোটিভেশনটাই যথেষ্ট। বাগান চাণক্য দেবাশিস দত্তের দাবি ,‘‘ উপচে পড়বে রবিবাসরীয় যুবভারতী। বড় ম্যাচের টিকিটের চাহিদা এবার নতুন নজির তৈরি করবে। কম মূল্যের কিছু টিকিট ছাড়া সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’’ এটিকে-মোহনবাগান মউ সই নিয়ে সদস্য-সমর্থকদের বিভ্রান্তি দূর করতে এগজিকিউটিভ কমিটিকে উদ্যো নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছ। রবিবাসরীয় ডার্বি দেখতে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এটিকে কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, উৎসব পারেখ ও সিইও রঘু আইয়ারকে। পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে শনিবার এফসি গোয়া-এটিকে ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাগান সহসচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থসচিব দেবাশিস দত্তকে। শুক্রবার বিকেলে ভিক্টোরিয়া হাউজে এক চা-চক্রে মিলিত হয়েছিলেন দুই পক্ষের শীর্ষকর্তারা।
PARADIP GHOSH