(ডেভিড)
বসুন্ধরা কিংস -১
(ফার্নান্ডেজ)
#মেল: বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস প্রথম থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। মোহনবাগানের ফরাসি ফুটবলার বুমু না থাকায় মিডফিল্ড অঞ্চলে প্রথম থেকেই দখল ছিল বাংলাদেশের ক্লাবের। ফাহাদ, জোনি, ফার্নান্ডেজ ছাপিয়ে যাচ্ছিলেন লেনি, দীপক, লিস্তন কোলাসোদের। ২৮ মিনিটে বক্সের বাঁদিক থেকে জোরালো শটে গোল করেন ফার্নান্ডেজ। বলটা এমন জায়গায় ড্রপ পড়ল, কিছুই করার ছিল না অমরিন্দর সিং - এর। অবশ্য এর কিছু আগে সহজ সুযোগ মিস করেন লিস্তন। ডেভিড উইলিয়ামসের বল ধরে ফাঁকা গোল পেয়েও বাইরে মেরে বসেন।
advertisement
এর কিছু পরে কৃষ্ণর একটা দুর্দান্ত প্রচেষ্টা বাঁচিয়ে দেন ইরানের খালেদ শেফি। প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখেন বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে কলকাতার ক্লাব। একজন কম থাকার ফলে বাংলাদেশের দলের পক্ষে কাজটা একটু কঠিন হয়ে যায়।৬২ মিনিটে লিস্টন বাঁদিক থেকে ড্রিবল করে দুজন ফুটবলারকে কাটিয়ে নিয়ে বল বাড়ান বক্সে। ডেভিড উইলিয়ামস ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করেন।
একজন কম নিয়ে খেললেও হাল ছাড়েনি বসুন্ধরা। রবসনের একটা শট পোস্টে লেগে ফেরে। তবে গোল বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু কৃষ্ণ জালে বল রাখতে পারেননি। মঙ্গলবার ছিল দুই স্প্যানিশ কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই। বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন এর আগে স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া, মুম্বই এফসি, মুম্বই সিটিতে কোচিং করিয়েছেন। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে ধারণা ছিল তাঁর। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে শুরু করে বসুন্ধরা। আপফ্রন্টে ব্রাজিলের রবিনহো ও আর্জেন্তিনার রাউল বেকেরার উপর ভরসা করেছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজোন।
গ্রুপের শেষ ম্যাচেও ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজান হাবাস। মাজিয়ার বিরুদ্ধে গত ম্যাচের প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন রক্ষণকে অবিন্যস্ত লেগেছে। তাই ডিফেন্ডারদের সহযোগিতা করার জন্য মিডিওদের বিশেষ পরামর্শ দিয়েছিলেন কোচ। আপফ্রন্টে রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংরা তাঁকে ভরসা দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল। গ্রুপ ডি’তে দু’টি ম্যাচে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে এটিকে মোহন বাগান। ৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষ দলকে গুরুত্ব দিয়েই মঙ্গলবার ড্রয়ের কথা ভাবেননি হাবাস।
তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘আমরা জয়ের জন্য খেলব। বসুন্ধরা শক্তিশালী ক্লাব। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল। ঘরোয়া লিগে ২১টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে তারা।’ বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ড্র করলেই এএফসি কাপের জোনাল সেমি-ফাইনালে পৌঁছ যেত এটিকে মোহন বাগান। মঙ্গলবার মালদ্বীপের মালেতে এই নক-আউট ম্যাচে খেলতে নামার আগে হুগো বোমাসের কার্ড সমস্যা চিন্তায় রেখেছিল কোচ হাবাসকে। প্রথম দু’টি ম্যাচেই ভাল খেলেছিলেন তিনি। যাই হোক এক পয়েন্ট আদায় করে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের পর্বে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান।