কিন্তু অধিকাংশ সময় চোট সমস্যায় ফেলেছে বারবার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডি মারিয়া ব্যথা পেয়ে উঠে যাবেন এটাই ছিল এতদিনের নিয়ম। সেই নিয়ম এবার বদলেছে। ম্যাচ চলাকালীন আঘাত পেলেও দীর্ঘক্ষন খেলেছেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে রবিবার ভোরের ফাইনালে নেইমারদের ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ফাইনালে গোলের করে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক বনে গেছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
advertisement
সেই ডি মারিয়া ম্যাচ শেষে কেটে নিয়ে আসলেন ব্রাজিলের গোলপোস্টের জাল। ফাইনালে গোলপোস্টের জাল কাটার রীতি রয়েছে জয়ী দলের। সেই কাজটি ভালোভাবেই সারলেন ডি মারিয়া। এইদিন আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি। ম্যাচের ২২তম মিনিটে ব্রাজিলের জালে বল ঝরান এই পিএসজি তারকা। বলটি জালের যে জায়গায় গিয়ে লেগেছিল সেই অংশটুকু কেটে দেশে নিয়ে আসেন আর্জেন্টিনার এই পারফেক্ট-ইলেভেন।
টুর্নামেন্টে চার গোল ও পাঁচ অ্যাসিস্ট করা মেসিকে ছাপিয়ে ফাইনালে নায়ক হয়েছেন ডি মারিয়াই। তার গোলই ২৮ বছর পর শিরোপা স্বাদ এনে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। তার কল্যাণেই সময়ের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত লিওনেল মেসির হাতে ট্রফি উঠেছে। তাই সেই স্মরণীয় গোলের গোলপোস্টের জালটি তিনি কেটে আনতেই পারেন! এমনকি লিওনেল মেসি তাঁকে আলাদা মোটিভেশন দিয়েছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন।এটাই এখনো পর্যন্ত ফুটবল জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করেন ডি মারিয়া। আর মারাকানা স্টেডিয়াম থেকে কেটে আনা জাল কোনদিনও হাতছাড়া করবেন না।