ফুটবল মেলাতে পারে দুই দেশকে। ফুটবলের হাত ধরে তৈরি হয় সম্পর্ক। বেঁচে থাকে অর্থনীতি থেকে সংস্কৃতি। অনেক সম্পর্কের টানাপোড়েন মিটিয়ে দিতে পারে ফুটবল। আবার ফুটবলকে কেন্দ্র করে গন্ডোগোলও হয়। উগ্র সমর্থকদের বাঁধন ছাড়া উল্লাসের ছবি ধরা পড়ে বিভিন্ন সময়ে। সেইরকমই ঘটনা ঘটল এবার বিশ্বকাপ চলাকালীন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর ফের নকআউটে উঠেছে মরক্কো। কানাডাকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে গ্রুপ টপ করে নয়া রূপকথা লিখেছে মরক্কো। ইতিহাস তৈরির পরই বিভিন্ন দেশে মরক্কোর সমর্থকদের বাঁধন ভাঙা উল্লাস শুরু হয়েছে।
advertisement
নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, বেলজিয়াম সহ বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছেন সেখানে থাকা মরক্কোর সমর্থকরা। খেলা শেষের পরই আতসবাজি হাতে রাস্তা আটকে উল্লাসে মেতে ওঠেন সমর্থকরা। তবে উল্লাসের মাত্রা অনেক জায়গাতেই মাত্রাছাড়া। ফলে স্থানীয় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে মরোক্কোর সমর্থকদের। নেদারল্যান্ডসে তো পুলিশের সঙ্গে মরক্কোর ফ্যানদের খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশের তাড়া। ভিড় সরাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গিয়েছে পুলিশ।
অনেকটা একই রকম ছবি বেলজিয়ামেও। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের রাস্তাতেও পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় মরক্কোর সমর্থকদের। ভিড় সরাতে জল কামান ব্যাবহার করতে হয় পুলিশকে। এর আগেও বেলজিয়ামকে হারনোর দিন ব্রাসেলসের রাস্তায় তুলকালাম হয়। দোকান ভাঙচুর হয়। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িয়ে থাকার অপরাধে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ গোলকিপারের বউয়ের সঙ্গে সঙ্গম স্ট্রাইকারের! বিশ্বকাপের মাঝে ঝামেলা দুই সতীর্থের
তবে বৃহস্পতিবার পুলিশি তৎপরতায় এতটা বাড়াবাড়ি আর হয়নি। প্যারিসেও মরক্কোর সমর্থকদের সেলিব্রেশনের ছবি ধরা পড়েছে। তবে সেখানে পুরোটাই ছিল নিয়ন্ত্রণে। রাউন্ড অফ সিক্সটিনে স্পেনের বিরুদ্ধে নামবে মরক্কো। সেই ম্যাচেও অঘটনের আশায় বুক বাঁধছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মরক্কোর সমর্থকরা।