কাতার বিশ্বকাপের সব ম্যাচ নিয়ে হাজির হয়েছিল জিও সিনেমা অ্যাপ। তাও একেবারে বিনামূল্যে। ফাইনালের দিন দেখা গেল, যত দর্শক জিও সিনেমা অ্যাপে দেখেছেন ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ফাইনাল ম্যাচ দেখেছেন তা টিভি ভিউয়ারশিপের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। ডিজিটাল ভিউয়ারশিপে ভারত প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক মার্কি স্পোর্টস ইভেন্টে টিভিকে অতিক্রম করে গেল।
আরও পড়ুন: লুসেইলেই শুরু, লুসেইলেই শেষ! সৌদির কাছে হারার মাঠেই ইতিহাস মেসিদের
advertisement
এ বছর জিও সিনেমা অ্যাপের সৌজন্যে যেভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মানুষ খেলা দেখেছেন, তা এক কথায় অনবদ্য ৷ ১১০ মিলিয়নের বেশি রিচ৷ ফিফা বিশ্বকাপে ভারতই হয়ে উঠেছে সর্বোচ্চ ডিজিটাল ভিউয়ারশিপের একমাত্র বাজার। টুর্নামেন্ট জুড়ে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা অ্যাপগুলোর মধ্যে এক নম্বরে জিও সিনেমা। শুধু ফাইনালই দেখল ৩২ মিলিয়ন মানুষ।
জিও সিনেমা অ্যাপে লাইভ ম্যাচ চলাকালীন নানা অফারও পেয়েছেন দর্শকরা। হাইপ মোডের মাধ্যমে ম্যাচ দেখা ছিল আরেক অভিজ্ঞতা। মাল্টি-ক্যাম ভিউ, ট্রিভিয়া এবং রিয়েল-টাইমে পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংযোগ স্থাপন করে গিয়েছে জিও সিনেমা।
আরও পড়ুন: টিভিকে ছাপিয়ে গেল ডিজিটাল ! জিও সিনেমায় রেকর্ড সংখ্যায় মানুষ দেখলেন বিশ্বকাপ
জিও সিনেমা একাধিক ওইএম, সিটিভি প্ল্যাটফর্ম যেমন জিও এসটিবি, অ্যাপল টিভি, অ্যামাজন ফায়ার স্টিক, সোনি, স্যামসং, এলজি এবং শাওমিতে সাপোর্ট করে। সিটিভি দর্শকরা জিও সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইউএইচডি ৪কে-তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখেছেন।
ভায়াকম ১৮ স্পোর্টসের সিইও অনিল জয়রাজ বলেন, ‘‘দর্শকদের কাতার বিশ্বকাপ দেখানোর জন্য বিশ্বমানের উপস্থাপনা এবং সহজে অ্যাক্সেসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেটা আমরা পূরণ করেছি। টুর্নামেন্টটি ডিজিটালে সর্বাধিক দেখা বিশ্ব ক্রীড়া ইভেন্টে পরিণত হয়েছে যেখানে ভারত অংশ নেয়নি’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এটা ডিজিটাল শক্তি প্রদর্শনের উদাহরণ।’‘
বিশ্বকাপ জুড়ে স্পোর্টস ১৮-এর বিশ্বমানের স্টুডিও থেকে ম্যাচের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন ওয়েন রুনি, লুইস ফিগো, রবার্ট পিরেস, গিলবার্তো সিলভা এবং সল ক্যাম্পবেল। জিও সিনেমা এবং স্পোর্টস ১৮-এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্টের সঙ্গে অংশীদারি ব্র্যান্ডগুলিও দর্শকদের কাছে সহজেই পৌঁছে যেতে পেরেছে।