ম্যাচের প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি ফুটবল খেলে দুই দল। গোটা প্রতিযোগিতায় দুই দল ডিফেন্সিভ ফুটবল খেললেও এদিন আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলা শুরু করে ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো। ম্যাচের ৭ মিনিটেই প্রথম গোলের মুখ খোলে ক্রোটরা। ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে গোল করেন গ্যাভ্রাডিওল। যদিও লিড মাত্র ২ মিনিট ধরে রাখতে পেরেছিল ক্রোটরা। ম্যাচের ৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান আসরফ দারি।
advertisement
এর পর আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। দুই দলই বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না। তবে প্রথমার্ধে মাঝমাঠের রাশ বেশ হাতে ছিল ক্রোয়েশিয়ার। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দালিচের দল। যার ফলস্বরূপ ম্যাচের ৪৩ মিনিটে চোখ ধাঁধানো গোল করেন অরিসিচ। যা এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করে মরক্কো। প্রথমার্ধের থেকে আক্রমণের ঝাঁঝও বাড়ায় নেসেরি, জিয়েচ, বুফলরা। তবে ক্রোটদের জমাটি রক্ষ্মণ ভাঙতে সমর্থ হয়নি মরক্কোর অ্যাটাকিং লাইন। গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়াও। তবে সুযোগ কাজে লাগেনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে ক্রোয়েশিয়া। তবে কাতারে মরক্কোর লড়াই ফুটবল বিশ্ব মনে রাখবে অনেক দিন।