নিজের ফর্ম নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচতি হচ্ছিলেন রোনাল্ডো। কোয়ার্টার ফাইনালেও সেই সাদামাটা ফুটবলই খেললেন সিআরসেভেন। এক্সট্রা টাইমে বক্সের ভিতর সহজ সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন রোনাল্ডো। আগের রোনাল্ডো হলে বক্সের ভিতর এমন সুযোগ পেলে একশো শতাংশ নেট করতেন। শুধু রোনাল্ডোই নয়, নির্বিষ ফুটবল খেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। গুরু-শিষ্যর যে লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবল বিশ্ব, তা মন ভরাতে পারল না কারও।
advertisement
১২০ মিনিটের নিষ্ফলা লড়াইয়ের শেষে খেবা গড়ায় টাই ব্রেকারে। সেখানে দিয়াগো কস্টার উপর নির্ভর করছিল ইউরোতে রোনাল্ডোর ভাগ্য। রোনাল্ডো পেনাল্টি শুটআউটে গোল করলেও আগের ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি বাঁচানো কস্টা একটি শটও এদিন আটকাতে পারলেন না। উল্টো দিকে পোস্টে বল মেরে খলনায়ক হলেন পর্তুগালের জোয়াও ফেলিক্স। ৫-৩ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জিতে সেমিতে পৌছে গেল ফ্রান্স।
আরও পড়ুনঃ Euro 2024: ৯০ বছরে যা হয়নি তাই ঘটল এবার, একইসঙ্গে ইউরোর ইতিহাসে প্রথম হল এমন রেকর্ড
এদিন ম্যাচ শেষে মাঠেই আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন পর্তুগালের দুই সবথেকে সিনিয়র প্লেয়ার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এটাই তাঁর শেষ ইউরো আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন রোনাল্ডো। ফলে হারের পর যেন এই প্রতিযোগিতার মাঠ ছাড়তে পারছিলেন না সিআরসেভেন। পেপে কেঁদে ফেলেন ম্যাচ শেষে। তাঁকে সান্তনা দিতে দেখা যায় রোনাল্ডোকে। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে ছলছল চোখে ড্রেসিং রুমের টানেলের দিকে জীবনের সবথেকে কঠিন ও দীর্ঘপথটা হাঁটলেন রোনাল্ডো।