ফ্রান্স - ২ (চৌয়ামেনি, জিরু)
#দোহা: ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ হতে চলেছে ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স। গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তেমনই গত বারের সেমিফাইনালিস্ট এবং গত কয়েক বছরে অন্যতম ধারাবাহিক দল ইংল্যান্ড। একঝাঁক তরুণ স্ট্রাইকার, ইংল্যান্ড অনবদ্য খেলছে। ৪-৩-৩ ফর্মেশন শুরু করল ইংল্যান্ড, অন্যদিকে ৪-২-৩-১ ছকে শুরু করল ফ্রান্স। প্রথম থেকে দাপট ছিল ফরাসিদের। ১৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে গেল তারা।
advertisement
গ্রিজম্যানের বাড়ানো বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো শটে লক্ষ্যভেদ করেন চোইয়ামেনি। ইংল্যান্ড গোলরক্ষক শরীর ছড়ে দিও আটকাতে পারেননি। এরপর অবশ্যই ম্যাচে ফিরে এসেছিল ইংরেজরা। হ্যারি কেন একবার পেনাল্টির দাবি করেন। একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে তার পা থেকে বল তুলে নেন হুগো।
আরও পড়ুন: ৬ জেলায় বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট, রবিবারের জন্য বড় সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র দফতরের!
লোরিস।দ্বিতীয়ার্ধে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকেনি ইংল্যান্ড। সাকা একটা দুর্দান্ত দৌড়ে ফরাসি ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে পেনাল্টি আদায় করেন। ভুল করেননি হ্যারি কেন। জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫৩ গোল করে রুনিকে স্পর্শ করে ফেললেন কেন। ৭৮ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বাঁদিক থেকে ভেসে আসা ক্রস হেড করে গোল করেন জিরু। কিন্তু ২ মিনিটের মধ্যে আবার নাটক। হার্নান্দেজ বক্সের মধ্যে ফেলে দেন ম্যাসন মাউন্টকে। প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও রিভিউ দেখে পেনাল্টি দেন ব্রাজিলিয়ান রেফারি। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে বল উড়িয়ে দেন হ্যারি কেন। রাশফোর্ডকে নিয়ে এসে আক্রমণের চাপ বাড়ায় ইংল্যান্ড। কিন্তু আর ভুল করেনি ফ্রান্স। যত সম্ভব বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখছিল তারা। মাথা গরম করে ফাউল করা শুরু করে ইংলিশ ফুটবলাররা। এমবাপে যেমন গতি বাড়ালেন, তেমনই তাকে সাহায্য করলেন বড় চেহারার রবিও। অতিরিক্ত ৮ মিনিট সময় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট আসন, নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র, নিয়ম অমান্য হলেই 'না' পর্ষদের
একেবারে শেষ মুহূর্তে রাশফোর্ডের ফ্রিকিক ওপর দিয়ে বাইরে চলে গেল। এখানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের লড়াই। ব্রিটিশদের কঠিন যুদ্ধে হারিয়ে শেষ হাসি হাসল ফরাসিরা। সেমিফাইনালে মরক্কোর সামনে দেশর দল। ৬০ বছরের ইতিহাসে ফ্রান্স এমন দল হতে পারে যারা পরপর দুটো বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখে।
---রোহন রায়চৌধুরী