লর্ডসে পঞ্চম দিন শুরু হওয়ার আগে অবধি মনে করা হচ্ছিল ম্যাচ ইংল্যান্ড জিতে যাবে।এবং ঘরের মাঠে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেবে তারা। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ১৮১-৬।তথাকথিত ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন শুধু ঋষভ পন্থ। তাকেও দিনের শুরুতে আউট করে ড্রেসিংরুমের রাস্তা দেখিয়ে দেন রবিনসন।তারপরেই শুরু হয় শামি - বুমরাহ যুগলবন্দী। সেখান থেকেই কামব্যাক করে ভারত।
advertisement
পঞ্চম দিনে লাঞ্চের পরই ডিক্লেয়ার করে দেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামেন ইংল্যান্ড দল। কিন্তু ভারতের আগুনে পেস বোলিং এর সামনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় ইংল্যান্ড ব্যাটিং।একপ্রকারের অসহায় আত্মসমর্পণ করে ইংল্যান্ড দল। ৫২ ওভারে মাত্র ১২০ রান করে অলআউট হয়ে যায় তারা। ৫ ম্যাচের সিরিজে ভারত ১-০ এর লিড নিয়ে নেয়।
ইংল্যান্ড ক্যাম্প থেকে যে স্লেজিং চলছিল গত দুদিন ধরে, তার বদলা নিল ভারতীয় দল। ভন মনে করেন ইংল্যান্ড ভারতীয় দলকে উত্তেজিত করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে সিরিজ জেতার জন্য ইংল্যান্ড দলকে নিজেদের সেরা দিতেই হবে। এই লড়াই সহজ হবে না বলে মনে করেন ভন। এই সবকিছু শুরু হয় অ্যান্ডারসনের ব্যাটিংয়ের সময়। বুমরাহ এই ইংলিশ বোলারের গা লক্ষ্য করে বাউন্সার দিতে থাকেন। জবাবে বুমরাহ ব্যাট করতে এলে তাকেও বাউন্সার করতে থাকেন ইংল্যান্ড বোলাররা। সঙ্গে চলতে থাকে স্লেজিং।
এর জবাবেই উত্তেজিত হয়ে চতুর্থ ইনিংসে ভারতের সব খেলোয়াড় ইংল্যান্ডের সব ব্যাটসম্যানকে স্লেজিং করে।বিশেষ করে ভারতীয় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির আক্রমনাত্মক ভঙ্গি ভারতীয় বোলারদের আরো বেশি উজ্জীবিত করে তোলে। ম্যাচের সেরা রাহুলের কথাতে স্পষ্ট বোঝা যায়।রাহুল বলেন ' আমাদের একজনকে কেউ আক্রমন করলে আমরা ১১জন মিলে তাকে প্রতিআক্রমন করব।'
ইংল্যান্ডের হয়ে ৮২ টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ভন মনে করেন পঞ্চমদিনের সকালে শামি এবং বুমরাহকে পার্টনারশিপ গড়তেই দেওয়াই জো রুটদের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে।তিনি মনে করেন ' ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করতে হত তখন।অফ স্টাম্পের বাইরে বল করতে পারত ইংল্যান্ড বোলাররা।কিন্তু তা না করে তারা শর্ট বল করে গেল।' ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট এবং জেমস অ্যান্ডারসনকে তিনি দায়ী করেছেন সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি স্লেজিং ব্যাপারটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গিয়েছে পরিষ্কার জানিয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক।