কল্যাণী স্টেডিয়ামে শনিবার বিকেলে, কলকাতা লিগের ডার্বিতে মুখোমুখি হয়ছিল মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল। আর সেই ম্যাচ ঘিরে, শুরু থেকেই চড়ছিল উত্তেজনার পারদ।
এ দিন খেলার ৯ মিনিটে, লাল হলুদ ব্রিগেডের হয়ে গোলটি করেন জেসিন টিকে। খেলার শুরু থেকেই এদিন চাপ বাড়াতে শুরু করেন ইস্টবেঙ্গল। আর তাতেই ফল পাওয়া যায়। ম্যাচের একদম ৯ মিনিটের মাথাতেই, লাল হলুদকে এগিয়ে দেন জেসিন টিকে। এরপরেই এডমুন্ড এবং সায়নের যুগলবন্দীতে, অসাধারণ একটি আক্রমণ তৈরি হয়ে যায়। সেখান থেকে বল পেয়েই গোল করেন জেসিন।
advertisement
কিন্তু, গোল খেলেও খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে মোহনবাগান। এরপরেই, ম্যাচের ৩১ মিনিটে সুহেইল ভাটের শট পোষ্টে না লাগলে হয়ত খেলায় সমতা ফেরাতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। ম্যাচ থেকে কিছুটা হলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট দেখায় বাগান শিবিরকেও। একটুর জন্য তাঁর শট বাইরে চলে যায়। তাছাড়া দীপেন্দু বিশ্বাসও চেষ্টা করেন। কিন্তু গোল হয়নি। বরং, বলা ভাল, ইস্টবেঙ্গল ক্রমশ মাঠের দখল নিতে থাকে। ম্যাচের বয়স তখন ২৯ মিনিট, এডমুন্ডের শট গোলের উপর দিয়ে উড়ে যায়। তা গোলমুখী হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।
এরমাঝেই, মোহনবাগানের সালাউদ্দিনের গুরুতর চোট লাগে। খেলার ৪৫ মিনিটে, ডেভিডের শট দুরন্ত সেভ করেন মোহনবাগান গোলকিপার দী’প্রভাত। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে, আবারও জ্বলে ওঠেন লাল হলুদ শিবিরের সায়ন। দলকে একটি গোল উপহার দেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে খেলায় ফেরত আসে মোহনবাগান। কর্নার থেকে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দুরন্ত গোল করলেন কাসথানা। ফলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-১। গোল পেয়ে যেতেই আক্রমণের তেজ আরও বাড়িয়ে দেয় বাগান শিবির।
এরপরে আরও একটি গোলে ম্যাচের ব্যবধান ২-২ করে মোহনবাগান। কিন্তু, ম্যাচের স্কোরলাইন আবারও বদলে যায়। লাল হলুদ শিবির আরও একগোলে ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। সেই ব্যবধান আর কমাতে পারেনি বাগান শিবির। ৩-২ গোলে কল্যাণীর মাঠে পরাস্ত হতে হয় মোহনবাগানকে। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে যেন শাপমোচন ঘটল ইস্টবেঙ্গলের।