রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর কথার সত্যতা মানলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেছেন এই পুরো বিষয়টি এফএসডিএলকে জানানো হয়েছে। তারা ডার্বির দিন পিছোতে রাজি নয়। বদলে অন্য রাজ্যে ডার্বি আয়োজনের ভাবনা চিন্তা করছে। যদিও সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্ট এই রাজ্যে ওই দিন(১১জানুয়ারি) ডার্বি আয়োজনের চেষ্টা করে চলেছে।
১১ জানুয়ারি বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের ফিরতি ডার্বি আয়োজনে জটিলতা যে রয়েছে তা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। ওই সময় গঙ্গাসাগর মেলা থাকায় ডার্বির নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশের ব্যবস্থা করতে না পারার জন্যই যাবতীয় সমস্যার শুরু। দুই জানুয়ারি এবং এগারো জানুয়ারি ম্যাচের আয়োজনর জন্য পুলিশি অনুমতি চেয়েছিল সুপারজায়ান্ট কর্তৃপক্ষ। দুই জানুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। সেই ম্যাচের ব্যাপারে সবুজ সংকেত চলে এসেছে।
advertisement
ডার্বি আয়োজনে ১২০০পুলিশ দরকার হয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট মূল দায়িত্বে থাকলেও দুই চব্বিশ পরগনার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের একাংশ নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর কাজে থাকে। কিন্তু গঙ্গাসাগরের মেলার বিপুল পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দরকার। যার যোগান কেবলমাত্র দক্ষিন চব্বিশ পরগরগনার পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষে কুলোয় না।
আরও পড়ুনঃ IND vs AUS: শেষ টেস্টের আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিত! বড় কথা জানিয়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক!
ফলে পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা,হাওড়া,দুই মেদিনীপুর থেকে পুলিশের যোগান নিরাপত্তা রক্ষায় দিতে হয়। পাঁচ থেকে ছয় হাজার পুলিশ গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তায় থাকেন। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট শীর্ষে রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলও প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান ডার্বির উন্মাদনায় প্রভাব ফেলে না। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো ডার্বি আয়োজনে নিরাপত্তার জটিলতা নতুন নয়। এবং সেটা সামলে ডার্বি হয়েছে। চলতি আইএসএলে আরজিকর আন্দোলনের প্রভাবে ডার্বি পিছিয়ে গিয়েছিল।