যুভারতীতে ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নিশু কুমারের ক্রস থেকে গোল করে যান অজ ছেত্রী। গোল হজম করার পর তেড়েফুড়ে আক্রমণ শুরু করে হাবাসের ছেলেরা। সেই সময় বাগানের আক্রমণের ঝড়ে অনেকটাই টালমাটাল দেখায় ইস্টবেঙ্গলকে। ১৭ মিনিটে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। ব্রেন্ডন হ্যামিল ক্রস বাড়ান সাদিকুকে। ভলিতে গোল করে সমতা ফেরালেন সাদিকু। গোল শোধ করার পর প্রথমার্ধ জুড়ে কার্যত মোহনবাগানই খেলে। ইস্টবেঙ্গলকে অনেক বেশি ডিফেন্সিভ মনে হয়। তবে প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরোয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। মোহনবাগানের ভুলে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভা বাঁ-দিক থেকে ক্রস বাড়াব নন্দ কুমারকে। সায়ন ক্রস মিস করলেও, দীপক টাংরি বক্সের মধ্যে মহেশকে ধাক্কা দিলে রেফারি তাঁকে হলুদকার্ড দেখান ও পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মোহনবাগান শিবির। ক্লেইটন সিলভা পেনাল্টি থেকে বিশাল কাইথকে পরাস্থ করে গোল করতে ভুল করেননি।
আরও পড়ুনঃ সিনেমাও মানবে হার! জেলে থাকাকালীন নিজের আইনজীবীর সঙ্গে প্রেম-বিয়ে বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারের
এরপর ম্যাচে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। বারবার মেজাজও হারান ফুটবলাররা। একাধিক হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ৮৭ মিনিটে গোল করে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান পেত্রাতোস। তবে তার আগে ফাউল ছিল বলে দাবি জানায় ইস্টবেঙ্গল। রেফারির ফাউল না দেওয়া নিয়ে অসবন্তোষও প্রকাশ করেন কুয়াদ্রাত। ফাউল না দেওয়া নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। খেলা ফের ২-২ সমতায় ফেরার পর শেষ ১০ মিনিট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই দলের। তবে কেউ আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি।