বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনিও কথা বলতে পারছিলেন না ঠিক করে। ধরাধরা গলায় বললেন, এই তো দীপাবলীর রাতে দেখা হল। ওটাই শেষ দেখা বুঝতে পারিনি। একসঙ্গে লেখাপড়া এবং বেড়ে ওঠা। ছোটবেলায় জয় শংকরকে নেতাজি সাজানো হত স্কুলে। আপাদ মস্তক ভাল মানুষ। লজিস্টিক কম্পানি ( কার্গো বিভাগে) কর্মরত ছিল। বুঝতে পারছি না কি হবে স্ত্রী এবং ছোট মেয়েটার। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে পড়ে গেল ওরা।
advertisement
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপে নিজের সাফল্যের রেসিপি সামনে আনলেন আরশদীপ, প্রশংসা করলেন সিনিয়র তারকার
পরিবারের লোকজন শোকে বিহ্বল। প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে গিয়ে ৩৭ বছরের যুবকের মৃত্যুতে হতবাক দেশবন্ধু নগরে জয়শঙ্করের পাড়া প্রতিবেশীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, হার্টের সমস্যা ছিল জয়শঙ্করের। ডায়াবেটিসেও ভুগছিলেন। স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেরি হয়ে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির টিকিট পাননি।
২ ক্লাবের পক্ষ থেকে যেমন শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে, তেমনই প্রয়োজনে বাচ্চার লেখাপড়ার খরচ দেখাশোনা করবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এমনটাও বলা হয়েছে। তবে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। জয় শঙ্করের স্ত্রী কর্মরত না হাউজ ওয়াইফ সেটা জানা যায়নি।
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস যখন এমন হয়েছে তখন শোক সামলে উঠে জীবনে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হবে। জীবন যে খুব নিষ্ঠুর। বাস্তব তার থেকেও সাংঘাতিক। এর নাম জীবন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পাল্টা লড়াই যেখানে একমাত্র রাস্তা।
