বেঙ্গালুরুকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ চ্যাম্পিয়ন করা কোচ কার্লোসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আজকের দিনটি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে গর্বের দিন। কুড়ি বছর আগে আজকের দিনেই ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে ভারতের পতাকা উড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আন্ডার ডগ হিসেবে তৈরি করেছিল ইতিহাস। তারিখ ২৬ জুলাই, সাল ২০০৩। ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে ‘রেড লেটার ডে’।
সুভাষ ভৌমিকের ইস্টবেঙ্গল ইতিহাস লিখেছিল বিদেশের মাটিতে। বাইচুং, অ্যালভিটো, ডগলাস, ষষ্ঠী, চন্দন, সন্দীপ, ওকোরো, সুলে মুসা ও এম সুরেশরা স্বপ্নই দেখেননি শুধু, স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছিলেন প্রিয় কোচের হাত ধরে। জাকার্তায় থাই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেক তেরো সাসানাকে হারিয়েই বিশ্বের দরবারে লাল-হলুদ মশালের আলো ছড়িয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
তুবও যেন আশিয়ান কাপ নামটা শুনলেই লাল-হলুদ সমর্থকদের মনে আচমকাই দোলা দেয়। আজ সেই আসিয়ান কাপ দিবসে নতুন প্রতিজ্ঞা নিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। মঙ্গলবারই দলবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিলেন নতুন কোচ। কার্লোস বার্সেলোনার মানুষ। লা মাসিয়া একাডেমি থেকে বেড়ে উঠেছেন। তার ফুটবল দর্শন শুধু জয় নয়, সুন্দর ফুটবল উপহার দেওয়া।
তাই এবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আশাবাদী নিশু, মহেশ, সুহের, মুবাশিরদের থেকে বিখ্যাত তিকিতাকা উপহার পাবে তারা। কার্লোস কম কথার মানুষ, কিন্তু মুখে হাসি লেগে থাকে সবসময়। দলের বিদেশি ফুটবলারদের বেছে নিয়েছেন তিনি। তার প্রধান দায়িত্ব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করা। কারণ ফুটবলে নাম নয়, বোঝাপড়া শেষ কথা। অনুশীলনে সেই তাগিদ দেখা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে।