বার্সেলোনায় হোটেল আল প্যালেস থেকে ফোনে সেই সবই শোনাচ্ছিলেন রূপক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও মাদ্রিদ থেকে এসে পৌঁছাননি। সেই অবসরে লা লিগায় বার্সেলোনা বনাম রিয়াল বেতিস ম্যাচ চাক্ষুষ করে এসেছেন রূপকবাবু। বলছিলেন, ক্যাম্প ন্যুর স্বপ্নের রাতটা ভোলা যাবে না। হাজার হাজার বার্সেলোনা সমর্থক গান গাইতে গাইতে স্টেডিয়ামে আসছেন। অনেক নতুন তথ্য জেনে যাচ্ছি এখান থেকে। চেষ্টা করব দেশে ফিরে আমাদের ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে এর কিছুটাও যদি বাস্তবায়ন করতে পারি। কলকাতা ফিরে নিতুদার (দেবব্রত সরকার) সঙ্গে আলোচনা করব!”
advertisement
আরও পড়ুন– সমর্থকের মৃত্যুতেও হুঁশ ফেরেনি সাদাকালোয়, দর্শক অশান্তিতে বিঘ্ন ম্যাচে জয় মহমেডানের
কী এমন দেখলেন রূপক সাহা? বলছিলেন, ‘‘বার্সেলোনার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের কোথাও যেন একটা সাদৃশ্য রয়েছে! দু’টো ক্লাবের বেড়ে ওঠার ইতিহাস, অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যেও মিল রয়েছে। ফারাকটা মানসিকতায়।’’ কেমন ফারাক ? ফোনের ও’পাশে ছোট্ট একটা গল্প বলছিলেন রূপক সাহা। ক্যাম্প ন্যুতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ক্লাবের নিজস্ব কুড়ি থেকে পঁচিশটা মার্চেন্ডাইজ স্টল। আর সেখানেই বিক্রি হচ্ছে ক্লাবের নিজস্ব জার্সি, কফিমগ, সুভেনির আরও কত কী! জার্সির দাম ১০০ থেকে ১২০ ইউরো। ওই একই জিনিস আবার বিক্রি হচ্ছে স্টেডিয়ামের বাইরেও। দাম বরং সেখানে খানিকটা কম। তবুও বার্সেলোনার সমর্থকরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে জার্সি, সুভেনির সংগ্রহ করছেন ক্লাবের মার্চেন্ডাইজ স্টল থেকেই। বেশি দাম দিয়ে!
আরও পড়ুন– দশজনের বাগানকে হারাল অভিষেকের ডায়মন্ড, সুপার সিক্সের আগেই ডুবল নৌকা
ইস্টবেঙ্গল সহ-সচিব নিজের পরিচয় দিয়ে কারণ জানতে চেয়েছিলেন! এক দু’জন বার্সেলোনা উত্তর এসেছে, বেশি অর্থ দিয়ে ক্লাবের থেকে সুভেনির কিনলে সেই অর্থটা যাবে ক্লাবের তহবিলে। ক্লাবের ভালর জন্য খরচ হবে সেই অর্থ। ক্লাবের ভালর জন্য বার্সেলোনা সমর্থকদের এই আকুতি মুগ্ধ করেছে ইস্টবেঙ্গল সহসচিবকে।