আফসোস বা আক্ষেপ বদলে গেছে আশীর্বাদে। সার্জিও লোবেরাকে ভুলে লাল হলুদ জনতা এখন মশগুল আরেক স্প্যানিয়ার্ড কুয়াদ্রাতের প্রেমে। একটা সময় কথাবার্তা এগিয়েও এক স্প্যানিয়ার্ডের না আসা ভুলিয়ে দিয়েছে আরেক স্প্যানিশ সুপার বস। দশের আইএসএলে মিট দ্য প্রেসের মঞ্চে বুধবার আমনে সামনে দুই ধুরন্ধর ফুটবল মস্তিষ্ক। কার্লোস কুয়াদ্রাত ও সার্জিও লোবেরা।
advertisement
আরও পড়ুন– আজ কল্যাণীতেই মিনি ডার্বি, সুপার সিক্স নিশ্চিত করতে সাদা-কালো জয়ের লক্ষ্যে মোহনবাগান
দুই ফুটবল কোচেরই কেরিয়রের একটা বড় সময় কেটেছে বার্সেলোনায়। তাই পরিচয় আগে থেকেই ছিল! কিন্তু কুয়াদ্রাত কি জানতেন, লাল হলুদে তাঁর পা রাখার আগে লোবেরার জন্যই ঝাঁপিয়ে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল রিক্রুটাররা ? মিট দ্য প্রেসে নিজেই ইস্টবেঙ্গলের প্রসঙ্গ তুললেন ওড়িশা এফসির চিফ কোচ। জানাতে ভুললেন না, মরশুম শুরুর আগে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর সঙ্গে! কথাবার্তাও এগিয়ে ছিল অনেকটা! তবে শেষ পর্যন্ত কেন আসেননি ইস্টবেঙ্গলে? কলকাতার বদলে কি কারণে বেছে নিলেন ভুবনেশ্বরকে? সেই রহস্য অবশ্য প্রকাশ্যে ভাঙতে চাননি সাংবাদিক সম্মেলনে!
পাঁচ তারা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বর্তমান ইস্টবেঙ্গল কোচের সঙ্গে খোশ গল্পে মেতে উঠে ছিলেন ওড়িশা এফসি-র স্প্যানিশ বস! দু’জনেই বার্সেলোনার হওয়ার কারণে পূর্ব পরিচিতি তো ছিলই! কী কথা হল দুই স্প্যানিয়ার্ডে? কুয়াদ্রাত বা লোবেরা বলতে চাননি। দু’জনের মধ্যে পূর্ব পরিচিতি থাকার কারণে নিছকই আড্ডা গল্প বলেই এড়িয়ে গেলেন কুয়াদ্রাত।
তবে লোবেরা সাংবাদিক সম্মেলনে বলে গেলেন, ওড়িশা এফসি-কে বেছে নেওয়াটা তাঁর সঠিক সিদ্ধান্ত। ইস্টবেঙ্গল ও ওড়িশাকে বেছে নেওয়ার জন্য কোন আফশোস নেই তাঁর! আফশোস নেই লাল হলুদ জনতারও। লোবেরার পরিবর্তে কুয়াদ্রাতেই দিলখুশ লাল হলুদ জনতার।