ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের যে বাংলাদেশের প্রতি শিকড়ের টান রয়েছে সেকথা স্মরণ করাতে ভোলেনি। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে কোভিড অতিমারী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে লাল-হলুদ যে প্রতিবাদ করতে বা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পিছ পা হয়নি, সেকথাও বলা হয়েছে ক্লাবের তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে। বাংলাদেশের হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করার পাশাপাশি শান্তি ফেরানোর দাবিও জনিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
ক্লাবের তরফ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা আমাদের ক্লাবের সমর্থকদের খুব গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই পূর্বপুরুষের শিকড় পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে। আমাদের অনেক সমর্থকের পরিবার, আত্মীয়স্বজন দেশভাগের আগে এবং পরবর্তী সময়ে এবং ‘৬০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ‘৭০-এর দশকের প্রথম দিকে এই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমরা তাদের থেকে প্রচুর ফোন এবং ই মেইল পাচ্ছি, যেখানে তারা আমাদেরকে এই বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকি আমাদের সমর্থকরা যারা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসেছেন তারাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
এছাড়াও বিবৃতিতে কড়া ভাষায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের নিন্দা করে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের ব্যাপক নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা সকল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে তারা যেন দয়া করে এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ওপারে আমাদের মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে এবং শান্তি স্থাপন করতে দিশা দেখান।”
আরও পড়ুনঃ KKR News: সকলকে টপকে ‘এই’ তারকা হচ্ছেন কেকেআরের অধিনায়ক! নাম জানলে চমকে যাবেন!
প্রসঙ্গত বিগত কয়েক দিনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির পর থেকে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছে বাংলাদেশ সনাতনী ও এদেশের হিন্দু সমাজও। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিবাদে সামনে এগিয়ে আসা উল্লেখযোগ্য হিসেবেই দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল।