দুই বাংলার কাঁটাতারের বেড়াজাল যেন এক লহমায় মুছে গেল। বিহ্বল মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। ওপার বাংলার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সম্পর্ক বরাবরই মধুর। পল্টু দাসের উদ্যোগেই আসলাম, রুমি, গোলাম গাউসরা লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপান। আবাহনী ক্রীড়াচক্রের হারুনুর রশিদও পুরনো গল্পে মাতিয়ে দিলেন মঞ্চ।
আত্মজন প্রীতি সম্মান গ্রহণের পর পাল্টা সৌজন্যে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে সংবর্ধিত করলেন পদ্মাপাড়ের ফুটবলাররা। তবে অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি ‘ভারত গৌরব’ রতন টাটা। তাঁর হাতে সম্মান পৌঁছে দেবেন লাল-হলুদ প্রতিনিধি। গত মরশুমের সেরা ফুটবলার ক্লেটন সিলভা ভিসা সমস্যায় ব্রাজিলে আটকে। তাঁকে দ্রুত কলকাতায় আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে ম্যানেজমেন্ট।
সিলভা গতবার ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে সেরা ফুটবলার ছিলেন। এবার যা দল তাতে তিনি আরও সফল হবেন আশা করা যায়। সেরা প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন নাওরেম মহেশকেও পুরস্কৃত করা হল। লাজুক মুখে ২৪ বছরের উইঙ্গার জানালেন, সেরাটা মেলে ধরার চেষ্টা করব। মহেশকে দলে নিতে উদ্যোগী ছিল বেশ কয়েকটি অন্য ক্লাব।
তবে মনিপুরী ফুটবলারটি এবছর লাল হলুদ জার্সিতেই খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মহেশ বুঝে গিয়েছেন আসল ম্যাচ কলকাতা ডার্বি। এই ম্যাচে নায়কের জন্ম হয়। তাই আসছে ১২ তারিখ ডুরান্ড কাপে এই চেষ্টাই করবেন লাল হলুদের উইঙ্গার।