টুর্নামেন্টে আজকের আগে পর্যন্ত অপরাজিত ছিল নর্থইস্ট। কম্বিনেশনও বেশ ভাল। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা ছিল না। গত মরশুমে আইএসএলের লিগ টেবিলে সর্বনিম্ন স্থানে ছিল নর্থইস্ট। তবে চলতি মরশুমে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল। স্প্যানিশ কোচ হুয়ান বেনালিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পার্থিব গোগোই, জিতিন এমএসের মতো ভারতীয় ফুটবলার দলের সম্পদ।
থাই লিগে খেলা বিদেশি মেলো ও আক্রমণাত্মক ফুটবলার রোমানও দারুণ ছন্দে ছিলেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাইশ মিনিটে এগিয়ে গেল নর্থ ইস্ট। বাঁদিক থেকে ফাল্গুনীর ক্রসে হেডে গোল করে গেলেন মিগুয়েল। ইস্টবেঙ্গলের ২ ডিফেন্ডার একেবারেই জায়গায় ছিলেন না। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়াল হাইল্যান্ডর। এবার ফাল্গুনি একক প্রচেষ্টায় দেখার মত একটা গোল করলেন।
বা পায়ের কোনাকুনি শট লাল হলুদ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জড়িয়ে গেল জালে। এরপর সিলভা, গুরসিমরতকে নিয়ে এলেন কার্লোস। ৭০ মিনিটের পর থেকে পরপর আক্রমণ করল ইস্টবেঙ্গল। ৭৬ মিনিটে একটা গোল তুলে নিল তারা। মহেশের শট দীনেশের পায়ে লেগে জড়িয়ে গেল জালে।
এরপরেও সাউল, নন্দ, সৌভিকরা লড়াই করছিলেন। সময় যাচ্ছিল আর সমর্থকদের রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছিল। এতদূর এসেও তবে কি খালি হাতে ফিরতে হবে? গ্যালারিতে উপস্থিত লাল হলুদ দর্শকদের মনে এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছিল। ৮ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল। দু মিনিট বাকি থাকতে লাল কার্ড দেখতে হল নর্থইস্ট ডিফেন্ডার মিগুয়েলকে। এক মিনিট আগে গোল শোধ করে দিল ইস্টবেঙ্গল। সিলভার তোলা বল হেডে জালে জড়িয়ে দিলেন নন্দকুমার। খেলা চলে গেল পেনাল্টি শুট আউটে।
টাইব্রেকারে মিস করলেন নর্থইস্ট দলের পার্থিব। দুবার সুযোগ পেয়ে দু’বার হারালেন তিনি। নন্দকুমরের শট জালে জড়াতেই ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপ ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল।