খেলার শুরু থেকেই বিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল ডায়মন্ড হারবার। ম্যাচের শুরুতে গুটিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরোতে শুরু করেন কিভুর ছেলেরা। নর্থইস্টের বক্সে বেশ কয়েকবার আক্রমণ শানায় তাঁরা।
ম্যাচে প্রথম গোল আসে ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায়। নিজেদের রক্ষণের ভুলে গোল খায় ডায়মন্ড হারবার এফসি। কর্নার ক্লিয়ার করতে পারেনি ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণ ভাগ। ফলে সেখান থেকে বল পেয়েই শট মারেন নর্থইস্টের ফুটবলার। একবার রক্ষা করলেও ফিরতি বলে আবারও শট করেন আশির। তা জালে জড়িয়ে যায়।
advertisement
এরপরেও একাধিক গোলের সুযোগ পায় নর্থইস্ট কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি আলাদিনরা। দুটো গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় তাঁদের।
অন্যদিকে, গোল খেলেও বিপক্ষের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে ডায়মন্ড হারবার। কিন্তু, ম্যাচের হাফটাইমের একটু আগে চমৎকার গোল করেন নর্থইস্টের পার্থিব গগৈ। বাঁ দিক থেকে বল এগিয়ে নিয়ে গিয়ে নিখুঁত ভাবে বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত ফিনিশে ব্যবধান বাড়ান তিনি।
হাফটাইমের পর থেকে যেন ডায়মন্ডের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেয় নর্থইস্ট। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে তাঁদের বক্সে। ম্যাচের তখন বয়স ৫০ মিনিট। বাঁ দিক থেকে আলাদিন একাই বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে পাস বাড়িয়ে দেন। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন থোই সিং। পিছন থেকে দৌড়ে এসে গোল করেন তিনি। আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি ডায়মন্ড হারবারের খেলোয়াড়রা। ফলে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দেয় নর্থইস্ট। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবারের খেলোয়াড়দের দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তাঁরা ম্যাচ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। অন্তত একটা গোল দেওয়ার চেষ্টা দেখা গেলেও সেই ঝাঁজ বা আক্রমণ দেখা যায়নি।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে প্রথম গোল পায় ডায়মন্ড হারবার। তারপর বেশ কয়েকবার আক্রমণের চেষ্টা করলেও তাঁরা ততক্ষণে ম্যাচ থেকে শত যোজন দূরে হারিয়ে গিয়েছে। ফাইনাল ম্যাচের শেষের কয়েক মিনিটেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে নর্থইস্ট। ম্যাচের ৮১ মিনিটের মাথায় জাইরো বুস্তারার অসাধারণ গোলে ৪ গোলে এগিয়ে যায় তাঁরা। মিরশাদ দর্শকের মতন শুধু চেয়ে দেখেন। পোস্টে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়।
ঠিক তিন মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন গাইতান। ডায়মন্ড হারবারের খেলোয়াড়দের কার্যত দিশাহারা দেখায়। বাঁ দিক থেকে আলাদিনের পাস ছিল ডান দিকে। পিছন থেকে দৌড়ে এসে কোনওমতে পা লাগিয়ে গোল করে যান গাইতান।
ষষ্ঠ গোল আসে ম্যাচের ৯০ মিনিটের মাথায়। আলাদিনকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পেয়ে যায় নর্থইস্ট। ষষ্ঠ গোলও করে দেন মরক্কোর স্ট্রাইকার। ডুরান্ড কাপে প্রথমবার ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন সেখানেই শেষ হয়ে যায় ডায়মন্ড হারবারের।