এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পাশাপাশি একটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। ৩০ জানুয়ারি প্রথম ওয়ানডে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ১১ দিন আগে সিরিজটি স্থগিত করল এনজেডসি। করোনার অমিক্রন ধরন মহামারি আকার ধারণ করায় সীমান্তনীতি কঠোর করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। দেশে ঢোকার নিয়মে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
advertisement
নিউজিল্যান্ডে ঢুকতে এখন বাধ্যতামূলক ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। এতেই দেখা দিয়েছে জটিলতা। ওয়েলিংটন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে ঘরে ফিরতে জাতীয় দল সময়মতো কোয়ারেন্টিন-সুবিধা পাবে কিনা, সে নিশ্চয়তা নেই। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা কবে ঘরে ফিরতে পারবেন, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
তবে অস্ট্রেলিয়া এই সফরের সময় বাড়াতে চেয়েছিল। কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা হলে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা যেন ফিরতে পারেন, এ ভাবনা থেকে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ অনুরোধ রাখার মতো সুযোগ তাঁদের নেই। এনজেডসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট বলেন, ওমিক্রনের আবির্ভাবে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
এনজেডসি ও সিএ (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) আলোচনার ভিত্তিতে সফরের সময়সূচি বাড়ানোর কথা ভেবেছিল যেন স্কোয়াড নিউজিল্যান্ডে ফিরতে পারে। কিন্তু আজ সকালে আমরা জানতে পেরেছি, তখনো (কোয়ারেন্টিনের) নিশ্চয়তা দিতে পারবে না সরকার। খেলোয়াড়দের নিজেদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিন করার অনুমতি দেয়নি সরকার, জানিয়েছে ক্রিকইনফো।
গত বছর এ সফরের সূচি ঠিক করা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি, ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। এ সফর স্থগিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গত ৪৪ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের জাতীয় দলের জন্য ঘরোয়া মরশুমে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ রইল না।
এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টাইন নিয়ম প্রচন্ড কঠিন। নোভাক জকোভিচের এপিসোড সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। তাই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নিউজিল্যান্ড।