ম্যাচের শুরু থেকেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দলের তুল্য-মূল্য লড়াই চলছিল। তবে গোলমুখি শট ও আক্রমণের নিরিখে কিছুটা এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। যার সুফল ম্যাচের ৩৬ মিনিটে পেল অস্কার ব্রুজোর দল। পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিল দিয়ামানতাকোস। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই ডার্বিতে প্রথম গোল করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান দিয়ামানতাকোস। বক্সের মধ্যে পিছন থেকে বিপিনকে ফাউল করলেন আশিস। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন দিয়ামানতাকোস। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েছিলেন বিশাল। তবে বল আটকাতে পারেননি।
advertisement
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ৬ মিনিটের মধ্যেই অনবদ্য আক্রমণ থেকে গোল করে যান দিয়ামানতাকোস। দলগত খেলায় বাজিমাত করে যায় লাল-হলুদ। মহেশের পাস থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান গ্রীক তারকা। বাঁ পায়ে শট মারেন দিয়ামানতাকোস। মোহনবাগানের আলবের্তোর গায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। জার্সি খুলে উৎসব করার কারণে হলুদ কার্ডও দেখেন দিয়ামানতাকোস।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোলের লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেন ইস্টবেঙ্গল। গোল খাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মোহনবাগান। ৬৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর শট বারে লাগে। ৬৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। জটলার মাঝ থেকে বল জালে জড়িয়ে যায়। তারপর ডিফেন্স পোক্ত করে ইস্টবেঙ্গল ও শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত লিড ধরে রাখে।