দুরন্ত ছন্দে আছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। আইপিএলে সর্বোচ্চ ৬৩৫ রান ( 635 runs in IPL) করে কমলা টুপির মালিক হয়েছিলেন। প্রথম আইপিএল শতরান পেয়েছিলেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ( Vijay Hazare trophy) এখন দুরন্ত ছন্দে আছেন ঋতুরাজ। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলেও কেরল, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্রিশগড় ম্যাচে শতরান ( 3 centuries) করেছেন তিনি। ভেঙ্গসরকার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ঋতুরাজ যখন এমন ছন্দে আছে, তখন তাকে বাইরে বসিয়ে রাখার মানে নেই।
advertisement
আরও পড়ুন - VVS Laxman: দ্রাবিড়ের জায়গায় NCA-র প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করে দিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম দলে ঢুকে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে ঋতু। যুক্তি হিসেবে কর্নেল বলেছেন একদিকে যেমন ঋতুরাজ ওপেন করতে পারেন, তেমনই তিন নম্বরে ব্যাট করতে পারেন। দীর্ঘদিন এই ছেলেকে তিনি চেনেন। সেই ১০ বছর বয়স থেকে। পুনেতে নিজের একাডেমিতে প্রথমবার ঋতুরাজকে দেখেছিলেন ভেঙ্গসরকার। তখনই বুঝে গিয়েছিলেন এই ছেলে অনেকদূর যাবে। আজ সেটাই সত্যি।
তবে ভেঙ্গসরকার মনে করেন এখন ঋতুরাজের বয়স ২৪। এটাই সেরা সময় জাতীয় দলে ঢোকার। এখন মানিয়ে নিতে পারলে ভারতীয় ক্রিকেটকে দীর্ঘদিন সার্ভিস দিতে পারবেন তিনি। ২৮ বছর বয়সে তাকে সুযোগ দেওয়ার মানে নেই। তাছাড়া একজন ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানকে সব সময় বড় প্ল্যাটফর্ম দেওয়া উচিত। তাতে দেশের মঙ্গল। জাতীয় দলের মঙ্গল।
গত জুলাই মাসে ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি টি টোয়েন্টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন ঋতুরাজ। মোট ৩৫ রান করেন। দিলীপ মনে করেন ঋতুরাজ একজন কমপ্লিট ব্যাটসম্যান। যত সুযোগ পাবে, ততই নিজেকে মেলে ধরবেন। ফাস্ট বোলার এবং স্পিনারদের বিরুদ্ধে সাবলীল ব্যাটিং করতে জানেন। ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ মেনে আক্রমণ করতে জানেন। অসাধারণ টাইমিং।
শক্তির প্রয়োগ কম, বুদ্ধির প্রয়োগ বেশি তার খেলায়। অতীতে ঋতুরাজকে নিজের উদ্যোগে ল্যাঙ্কাশায়ার সফরে পাঠিয়েছিলেন দিলীপ। মহেন্দ্র সিং ধোনি পর্যন্ত মুক্তকণ্ঠ প্রশংসা করেছিলেন এই ছেলের। চেন্নাইয়ের জার্সিতে ঋতুরাজ একাধিক রেকর্ড গড়বেন আগেই জানিয়েছিলেন মাহি। সেটাই হয়েছিল।
ধোনির ভরসার মর্যাদা দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের যুবক। সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত ঋতুরাজের ভক্ত। কোচ রাহুল দ্রাবিড় নিজেও সময় কাটিয়েছেন ঋতুর সঙ্গে। এখন দেখার দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের সিরিজে ঋতুরাজ দলে ঢুকতে পারেন কিনা।