চিলি : ১ ( ফুয়েনজালিদা - ৯০+২ )
#ক্যালিফোর্নিয়া: লিওনেল মেসি শেষপর্যন্ত মাঠে নামবেন কি নামবেন না, তা নিয়েই ছিল জোর জল্পনা ৷ শেষপর্যন্ত তাঁকে মাঠে না দেখা গেলেও ম্যাচ শেষে হাসিমুখেই সান্টা কার্লার মাঠ ছাড়লেন আর্জেন্টিনীয় সমর্থকরা ৷ পিঠে ব্যথা নিয়ে ডাগ আউটে বসেই দলের জয় দেখলেন মেসি ৷ দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ ও ৫৯ মিনিটে পরপর দুটি গোল করলেন অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া এবং বনেগা ৷ আর্জেন্টিনাও গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারাল সহজে ৷
advertisement
বেঞ্চে মেসির সঙ্গে এদিন ছিলেন লামেলা, লাভেজ্জি, পাস্তোরে। পানামা ম্যাচেই অবশ্য দলে ফিরছেন এলএম টেন। তবে মেসি না থাকলেও যে আর্জেন্টিনা জিততে পারে তা আরও একবার এদিন প্রমাণ করলেন গঞ্জালো হিগুয়েন- মারিয়ারা ৷ শেষ বাঁশি বাজার আগে ইঞ্জুরি টাইমে একমাত্র গোলটি না পেলে চিলিকে এদিন ‘ক্লিন শিট’-ই করতে পারতেন জেরার্দো মার্টিনোর ছেলেরা ৷ চিলির হয়ে ইঞ্জুরি টাইমে একমাত্র গোলটি করেন ফুয়েনজালিদা ৷
মঙ্গলবার সকালে সান্টা ক্লারার স্টেডিয়ামে লিও মেসিকে ছাড়াই দল সাজিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ ৷ ফলে প্রথমার্ধে মেসিহীন দলের খেলাও ছিল বেশ খারাপ ৷ যদিও খেলা শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা ৷ নিকোলাসের হেড অল্পের জন্য গোলের মধ্যে ঢোকেনি৷ চিলি গোলকিপারকে পরাস্ত করলেও তা ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে৷ এরপর ২৩ মিনিটে দি মারিয়ার কর্নার থেকে রোজোর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷ গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছিলেন চিলির খেলোয়াড়রাও ৷ ৩০ মিনিটে অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেজের শট দুর্দান্ত ভাবে বাঁচান আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক রোমেরো ৷
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অবশ্য আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় আর্জেন্টিনা ৷ ৫১ মিনিটে বানেগার পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের একদম মাথা থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন দি মারিয়া৷ এর ঠিক আট মিনিট পর একইভাবে দ্বিতীয় গোলটিও তুলে নেন তাঁরা ৷